সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একসময় পৃথিবীতে রাজত্ব করত অতিকায় ডাইনোসররা (Dinosaur)। কিন্তু নীল রঙের এই গ্রহে দাপিয়ে বেড়াতে বেড়াতে আচমকাই ‘ভ্যানিশ’ হয়ে যায় তারা। নেপথ্যে ছিল আগন্তুক গ্রহাণুর ঝাঁক! এমনটাই মনে করা হয়। প্রশ্ন জাগে, মানব সভ্যতাও কি কখনও বিপন্ন হতে পারে গ্রহাণুর দাপটের জন্য? এমন আশঙ্কা কিন্তু রয়েছে। নাসা জানিয়েছে, পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়তে পারে ‘২০২৩ ডিডবলিউ’। আর দিনটাও এক বিশেষ দিন। ১৪ ফেব্রুয়ারি। হাতে অবশ্য সময় রয়েছে। কেননা ওই গ্রহাণুটির সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে ২০৪৬ সালে।
কিন্তু সময় যতই বাকি থাক, সুইমিং পুলের আকারের এই গ্রহাণুটিকে (Asteroid) ঘিরে আশঙ্কার মেঘ এখনই ঘনাতে শুরু করেছে। এই মুহূর্তে যদিও পৃথিবী থেকে তার দূরত্ব ০.১২ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট। অর্থাৎ এখনও গ্রহাণুটির সঙ্গে পৃথিবীর দূরত্ব বিপুল। কিন্তু এখন থেকেই সতর্ক রয়েছে নাসা।
[আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী থেকে প্রাপ্ত ‘হিন্দুত্বের নমুনা’ জমা দিতে হবে, এএসআইকে নির্দেশ আদালতের]
প্রসঙ্গত, এই ধরনের আগন্তুক গ্রহাণু অতীতে বহুবার পৃথিবীতে আছড়ে পড়েছে এবং পৃথিবীর বিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সাম্প্রতিক অতীতে বহুবারই গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষে মানব সভ্যতা ধ্বংস হওয়ার নানা জল্পনা ও গুজব শোনা গিয়েছে। কিন্তু সাধারণত এই ধরনের গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষের সম্ভাবনা কমই থাকে। যদিও কখনও কখনও অন্য গ্রহের সঙ্গে মহাকর্ষীয় টানের কারণে তারা আচমকাই অনেকটা কাছে চলে আসে। এর মধ্যে যেগুলির সঙ্গে সংঘর্ষের ক্ষীণ সম্ভাবনাও থাকে, তাদের ‘নিয়ার আর্থ অ্যাস্টরয়েড’ তথা NEA হিসেবে ধরা হয়। আর এই ধরনের গ্রহাণুদের মধ্যে শীর্ষেই রয়েছে ‘২০২৩ ডিডবলিউ’। যদিও হিসেব বলছে, পৃথিবীর বুকে তার আছড়ে পড়ার আশঙ্কা খুবই কম। ৫৬০ ভাগের এক ভাগ। সুতরাং এমনও হতে পারে, ধাক্কা লাগলই না।
কিন্তু আশঙ্কা যেহেতু রয়েছে, তাই বিষয়টিকে হালকা ভাবে নিতে রাজি নন বিজ্ঞানীরা। এখন থেকেই নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছেন তাঁরা। যদি সত্যিই সেটি আছড়ে পড়ে, তাহলে যে আস্ত একটি শহরকে ধ্বংস করে দিতে পারে তাতে নিশ্চিত নাসা। তাই যে কোনও ভাবে এই ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচতেও সতর্ক থাকছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি।