সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বোমা বাঁধার সময় বিপত্তি। বিস্ফোরণে প্রাণ গেল অন্তত সাতজনের। জখম বহু। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। মর্মান্তিক এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল বিহারের (Bihar) ভাগলপুরে। পুলিশের নজর এড়িয়ে অবৈধভাবে কীভাবে বোমা বাঁধা চলছিল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
বৃহস্পতিবার ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত সাড়ে ১১টা। আচমকাই প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরণ হয়। তড়িঘড়ি বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন প্রায় সকলেই। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত বিস্ফোরণের শব্দ পৌঁছয়। তাঁরা দেখে প্রায় ২-৩টি বাড়ি কার্যত ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: রাশিয়ার বিরুদ্ধে সমর্থন আদায়ে ভারতকে ‘টোপ’ ফ্রান্সের]
বিস্ফোরণের খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ভাগলপুর রেঞ্জের ডিআইজি সুজিত কুমার, ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত কুমার সেন, সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ বাবু রাম-সহ বেশ কয়েকজন শীর্ষস্তরের পুলিশ আধিকারিক। ডিআইজি জানান, একটি বাড়িতে অবৈধভাবে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল। ঠিক সেই সময় বিস্ফোরণটি ঘটে। তাতেই প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রাণ হারান সাতজন। জখম বহু। তাঁরা প্রত্যেকেই স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি। আরও বেশ কয়েকজনের প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নিহতদের মধ্যে মাত্র ২জনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তাঁরা হলেন বছর ষাটের গণেশ প্রসাদ সিং এবং পঁয়ষট্টি বছর বয়সি ঊর্মিলা দেবী। বাকিদের ছিন্নভিন্ন দেহ এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। বিস্ফোরণে কমবেশি আহত হয়েছেন সোনি কুমার, নবীন মণ্ডল, রাহুল কুমার, আয়েশা কুমারী, রিঙ্কু কুমার শাহ, বৈষ্ণবী এবং জয়া। প্রত্যেকেই ৩০-৩২ বছর বয়সি। আহতরা প্রত্যেকেই মায়াগঞ্জ হাসপাতালে ভরতি। তাঁদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদিকে, বিস্ফোরণের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যের খোঁজে ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেনসিক টিমের আধিকারিকরা।