shono
Advertisement

‘অটল টানেল’থেকে সরিয়ে ফেলা হল সোনিয়া গান্ধীর নামাঙ্কিত ভিত্তিপ্রস্তর! ক্ষুব্ধ কংগ্রেস

সোনিয়া গান্ধীর হাত দিয়েই ২০১০ সালে টানেলটির শিলান্যাস হয়।
Posted: 02:34 PM Oct 13, 2020Updated: 04:22 PM Oct 13, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উদ্বোধনের দশদিনের মধ্যেই রাজনৈতিক বিতর্কে ‘অটল টানেল’ (Atal Tunnel )। এই টানেলের উদ্বোধনের আগেই সেখান থেকে সোনিয়া গান্ধীর নামের ভিত্তিপ্রস্তর সরিয়ে ফেলেছে প্রশাসন। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ কংগ্রেসের। হিমাচল প্রদেশের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কুলদীপ সিং রাঠোর এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরকে একটি চিঠিও লিখেছেন। সোনিয়ার নামাঙ্কিত ওই ভিত্তিপ্রস্তর কেন সরানো হল, তা জানতে চেয়েছেন ওই কংগ্রেস নেতা।

Advertisement

গত ৩ অক্টোবর হিমাচল প্রদেশের মানালি থেকে লাহুল-স্পিতি উপত্যকা পর্যন্ত বিস্তৃত ৯.০২ কিলোমিটার দীর্ঘ হাইওয়ে টানেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত, সেনাপ্রধান এমএম নারাভানে ও বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের আধিকারিকরা। সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ৩ হাজার মিটার উচ্চতায় অবস্থিত ৯.০২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই টানেলটি তৈরি হওয়ায় এখন থেকে সারাবছর মানালির সঙ্গে লাহুল-স্পিতি উপত্যকার যোগাযোগ বজায় থাকবে। এর ফলে মানালি থেকে লে-র মধ্যে দূরত্ব ৪৬ কিমি কমে যাবে। পাশাপাশি যাতায়াতের সময়ও কমবে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা। এই টানেলের ফলে সবচেয়ে বেশি সুবিধা হবে সেনার। এর মধ্যে দিয়ে লাদাখ পর্যন্ত সহজেই পৌঁছনো যাবে। অস্ত্রশস্ত্র ও খাদ্য অনায়াসেই পৌঁছে দেওয়া যাবে সীমান্তে।

[আরও পড়ুন: এখনও রাজ্যগুলির জিএসটি ক্ষতিপূরণ মেটাতে রাজি নয় কেন্দ্র! ক্ষুব্ধ অমিত মিত্র]

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগে বরফ জমে থাকার কারণে লাহুল-স্পিতি উপত্যকার সঙ্গে যোগ থাকত না হিমাচলের। তাই ২০০০ সালের ৩ জুন এই টানেল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। পরবর্তীকালে ইউপিএ জমানায় এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২০১০ সালের ২৮ জুন প্রকল্পের শিলান্যাস করেন তৎকালীন ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। তখনই সোনিয়ার নামাঙ্কিত ভিত্তিপ্রস্তরটি স্থাপন করা হয়। পরবর্তীকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অভিযোগ করেন কংগ্রেস আমলে এই প্রকল্পের কাজ হচ্ছিল কচ্ছপের গতিতে। তাঁর আমলের ৬ বছরে ২৬ বছরের কাজ হয়েছে। এ বছর ৩ অক্টোবর ওই টানেলটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেসের (Congress) অভিযোগ, সেই উদ্বোধনের আগেই সোনিয়ার নামাঙ্কিত ভিত্তিপ্রস্তরটি সরিয়ে ফেলেছে প্রশাসন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তা যথাস্থানে না ফিরিয়ে দিলে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি। রাজ্যের দুই কংগ্রেস নেতা আবার এই টানেল সরানো নিয়ে মামলাও ঠুকে দিয়েছেন। যা নিয়ে এই মুহূর্তে সরগরম হিমাচলের রাজনীতি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement