স্টাফ রিপোর্টার: একদিকে জ্বলছে প্রতিশোধের আগুন। অন্যদিকে লক্ষ্যে অবিচল থাকার লড়াই। এই দুইয়ের মাঝে দাঁড়িয়ে আজ জেতার শপথ নিয়ে নামছে এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। গড়গড়িয়ে চলা বিজয়রথের চাকা প্রথম আটকে দিয়েছিল জামশেদপুর (Jamshedpur FC)। বুঝিয়ে দিয়েছিল, এটিকে মোহনবাগান কাগুজে বাঘ। কিন্তু বাস্তবের ছবিটা হয়ে গেল উলটো। সবুজ–মেরুন জার্সিধারীরা প্লে–অফ খেলার (2020–21 Indian Super League season) ছাড়পত্র জোগাড় করে ফেলেছে। সেখানে জামশেদপুর জানে না তাদের ভবিষ্যতের চাকা কোথায় গিয়ে ঠেকবে।
তাই একদিকে জামশেদপুরকে হারিয়ে প্রথম হারের ধাক্কার প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হাবাস। অন্যদিকে গ্রুপ লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলার স্বপ্ন পূরণ করতে হলে আজ না জিতে উপায় নেই কৃষ্ণদের। তাই স্প্যানিশ কোচ বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁর দল আগামী চারটে ম্যাচ জেতার জন্য কতটা মুখিয়ে রয়েছে। “আমরা সবসময় সামনের প্রতিপক্ষের দিকে তাকিয়ে চলি। চারটে ম্যাচ জিতলে তবেই গ্রুপ লিগ চ্যাম্পিয়ন হব। সব দলই কঠিন প্রতিপক্ষ। ভিন্ন ভিন্ন মানসিকতা নিয়ে এগোতে হবে। এটুকু বলতে পারি, দলের প্রত্যেকের মনোবল অটুট।” জানিয়ে দিয়েছেন হাবাস।
[আরও পড়ুন: দ্বিতীয় টেস্টে দুরন্ত শতরানে একাধিক নজির রোহিতের, বিরাটের ঝুলিতে ‘লজ্জা’র রেকর্ড]
স্প্যানিশ কোচ ভালমতো জানেন, জামশেদপুরও চেষ্টা করবে আজ জিতে প্লে–অফ খেলার দৌড়ে থাকতে। তাই তারা সামনে এগিয়ে দেবে ডেভিড গ্রানদে ও ভালসকিসকে। পাশাপাশি এটিকে মোহনবাগানেও রয়েছেন একগুচ্ছ নজরকাড়া ফুটবলার। তবু প্রতিপক্ষকে মর্যাদার আসনে বসিয়ে স্প্যানিশ কোচ বলেন, “সমস্ত বিভাগে জামশেদপুরের ভাল ভাল সব ফুটবলার রয়েছে। বিশেষ করে আক্রমণে রয়েছে ভালসকিস ও গ্রানাডের মতো সৃষ্টিশীল ফরোয়ার্ড। সুতরাং তারাও প্লে–অফ খেলার জন্য ঝাঁপাবে।” কিন্তু মার্সেলিনোহ আসার পর থেকে এটিকে মোহনবাগানের গোল করার দক্ষতা অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে তিনটে ম্যাচে তিনি দু’টো গোল করেছেন।
ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড আসার আগে এতটা আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়ে খেলত না সবুজ–মেরুন শিবির। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে হাবাস বলেছেন, ‘‘আমরা সবসময় চেষ্টা করে এসেছি আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে। তবে এটা নয় যে, শুধু আক্রমণ করে যাব। আসলে ফুটবলে আক্রমণ ও রক্ষণের মধ্যে সামঞ্জস্য থাকা জরুরি। এটুকু বলতে পারি, দল এখন ভাল জায়গায় রয়েছে। তাই যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারে।”