স্টাফ রিপোর্টার: এএফসিকে লক্ষ্যে রেখে মাঠে নেমে পড়লেন এটিকে মোহনবাগানের (ATK Mohun Bagan) গোলমেশিন রয় কৃষ্ণ। হুগো বৌমাস, জনি কাউকোরা আগেই অনুশীলনে নেমে পড়েছিলেন। এদিন নামলেন রয় কৃষ্ণ। তবে এএফসির দিকে লক্ষ্য রেখে হাবাসের দল অনুশীলন শুরু করলেও, এটিকে মোহনবাগান এবারের কলকাতা লিগ (Kolkata League) আদৌ খেলতে পারবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। বিশেষ করে ১ আগস্ট পাঁচতারা হোটেলে কলকাতা লিগের ক্রীড়াসূচি ঘোষণার দিন সকালেই এটিকে মোহনবাগানের পক্ষ থেকে যে চিঠি আইএফএ সচিবের কাছে এসে পৌঁছেছে, তাতে রয় কৃষ্ণরা এবারের কলকাতা লিগ আদৌ খেলতে পারবে কি না, তা নিয়ে ভালরকম সংশয় তৈরি হয়েছে।
পাঁচতারা হোটেলে বায়োবাবলের মধ্যে থেকে রোজ যুবভারতী কমপ্লেক্সের ভিতরে অনুশীলন করছেন হাবাসের ফুটবলাররা। এবার কলকাতা লিগ হবে কোনওরকম বায়োবাবল ছাড়াই। ফলে এটিকে মোহনবাগানের টিম ম্যানেজমেন্ট নিজেদের ফুটবলারদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে কলকাতা লিগ নিয়ে মারাত্মক চিন্তায় রয়েছে। কারণ, কলকাতা লিগে খেলতে হলে, বায়োবাবল ভেঙে খেলতে হবে। যা এএফসি কাপের মধ্যে রীতিমতো চিন্তার।
[আরও পড়ুন: Tokyo Olympics: সোনার দৌড় শেষ, বিশ্বের ১ নম্বর তারকার কাছে হেরে ব্রোঞ্জ আনলেন Lovlina]
এএফসি খেলতে সম্ভবত ১৪ আগস্ট মালদ্বীপ উড়ে যাচ্ছেন ফুটবলাররা। সেখানে খেলে পরের রাউন্ডে গেলে, খেলা পড়বে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে। তাতে পরের রাউন্ডে এএফসি ম্যাচ খেলার আগে অন্তত ৬-৭ দিন টানা অনুশীলন করতেই হবে রয় কৃষ্ণদের। ফলে এই সময়ের মধ্যে বায়োবাবল ভেঙে এটিকে মোহনবাগানের ফুটবলারদের কিছুতেই কলকাতা লিগের ম্যাচ খেলা সম্ভব নয়। এর মধ্যে আবার ৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে ডুরান্ড কাপ। যা খেলতেই হবে এটিকে মোহনবাগানকে।
যে যে ফুটবলার আবার এএফসি খেলতে যাবে, কলকাতায় ফিরে তাদের অন্তত তিন দিনের কোয়ারান্টাইনে থাকতেই হবে। তাছাড়া ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচের জন্য দলের ভারতীয় ফুটবলারদের পাশাপাশি দলের বিদেশি ফুটবলারদেও ছাড়তে হবে। ফলে এই কম সময়ের মধ্যে কিভাবে কলকাতা লিগের ম্যাচ খেলা সম্ভব হবে, কিছুতেই বুঝতে পারছেন না সবুজ-মেরুন কর্তারা।
তারপরেও আইএফএকে এটিকে মোহনবাগান টিম ম্যানেজমেন্ট অনুরোধ করেছে, সব কিছু বিবেচনা করে লিগের ক্রীড়াসূচি তৈরি করতে। তাই এই মরশুমে সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা আদৌ কলকাতা লিগ খেলতে পারবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।