দীপক পাত্র: এফসি গোয়ার (FC Goa) সঙ্গে লড়াই কি জুয়ান ফেরান্দোর (Juan Ferrando) কাছে খুব সহজ হবে? এটাই হল কোটি টাকার প্রশ্ন। মরসুমের মাঝপথে এফসি গোয়া ছেড়ে ফেরান্দো যোগ দিয়েছেন এটিকে মোহনবাগানে। প্রথম কোচিং পরীক্ষায় তাঁকেই কিনা বসতে হচ্ছে পুরনো ক্লাবের বিপক্ষে। তাই এটিকে মোহনবাগান সমর্থকদের কাছে ম্যাচ যতটা টেনশনের তার চেয়ে শক্ত চ্যালেঞ্জ হল নতুন কোচের কাছে। টানা চারটে ম্যাচে জয়ের খরা কাটিয়ে গত ম্যাচে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডকে হারিয়েছে সবুজ–মেরুন শিবির। হারানো মনোবল কিছুটা হলেও ফিরে পেয়েছেন রয় কৃষ্ণরা (Roy Krishna)। কিন্তু বুধবারের খেলায় একদিকে জয়ের সরণীতে দলকে ধরে রাখার লড়াই রয়েছে হুগো বুমোসদের (Hugo Bumos) কাছে।
অন্যদিকে কোচের মুখরক্ষার ব্যাপারটাও রয়েছে। স্বভাবতই সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন গোয়ার বিপক্ষে লড়তে নামা কি সহজ হবে? প্রত্যুত্তরে ফেরান্দো বুঝিয়ে দিলেন, ২৪ ঘন্টা পর উভয় সঙ্কটে তিনি পড়তে চলেছেন। “বিভ্রান্তিকর অনুভূতি ও আবেগের সামনে পড়তে চলেছি। বুঝিয়ে বলা সত্যি খুব কঠিন। তবে শেষমেশ আমি একজন পেশাদার। সেরাটা তুলে ধরাই হল আমার একমাত্র লক্ষ্য। খেলার আগে বা পরের সঙ্গে বিষয়টা আলাদা। তবে আমার এখন একটাই লক্ষ্য, জেতা।” ফেরান্দোর সংযোজন, “এফসি গোয়ার সবসময় ভাল চাইব। মাঝে মাঝে কিছু সিদ্ধান্ত নিজের মতো করে নিতে হয়। তাদের একজন হেড কোচ আছে (ডেরেক পেরেরা)। যিনি প্রথম দলের সঙ্গে বহুদিন যুক্ত। নিশ্চয় তাঁর ভাবনায় কিছু নতুনত্ব থাকবে। আমি প্রতিপক্ষ দলের দিকে তাকাই না। লক্ষ্য রাখি নিজের দলের দিকে।”
[আরও পড়ুন: COVID-19: করোনা আক্রান্ত BCCI প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ভরতি হাসপাতালে]
গোয়া দলের প্রাক্তন কোচ বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁর খেলার স্টাইল একটাই, দলগত। ব্যক্তিগত স্তরকে প্রাধান্য দেন না। গত ম্যাচে তিনি রিজার্ভ বেঞ্চে বসলেও সেদিন তাঁর ভূমিকা ছিল অতিথির মতো। কিন্তু গোয়ার বিরুদ্ধে নামছেন কোচের পুরো তকমা নিয়ে। তাই বলে দিলেন, “ব্যাপারটা খুব উঁচু মানের ঠিকই। তবে মানের উপর নির্ভর করে না। দলগত পারফরম্যান্স হল আসল। দিনকে দিন উন্নতি করা জরুরী। প্রত্যেকের মানানসই পরিকল্পনাকে নিয়ে আসা প্রয়োজন হয়। সকলের উচিত সেই ভাবনাকে গুরুত্ব দেওয়া।”
ফেরান্দো এও জানাতে ভুলছেন না, তিনি আক্রমণাত্মক খেলা পছন্দ করেন। তাই ফেরান্দোকে বলতে শোনা গিয়েছে, “সেন্টার ব্যাক, লেফট ও রাইট ব্যাক সকলেই আক্রমণে সাহায্য করতে পারে। সকলে এও বুঝেছে, পয়েন্টের প্রয়োজনীয়তা কতটা রয়েছে। এখন প্রয়োজন প্রতিটি ফুটবলারের সঙ্গে কথা বলে এগোনো। রয় কৃষ্ণ, হুগো বুমোস, কাউকো, প্রীতম কোটাল বা যেই হোক না কেন, এই দলের প্রত্যেকের মান সমান।”
পরমুহূর্তে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন, এটিকে মোহনবাগান তাঁর উপর আস্থা রাখায় খুব খুশি। “লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়া বা প্লে–অফ খেলা কিংবা ট্রফি ঘরে তোলা অবশ্যই আমার কাছে চ্যালেঞ্জ। এই ধরনের চাপ খুব পছন্দ করি। তবে এটিকে মোহনবাগান আমার উপর আস্থা রাখায় দারুন খুশি। ক্লাব যখন সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাকে ডাকছে তার মানে আমার কাজের সঙ্গে তাঁরা সহমত পোষণ করছেন।” সত্যিই অগ্নিপরীক্ষায় বসতে চলেছেন ফেরান্দো।