সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লা লিগার ভাগ্য নির্ধারণের দিনেও ফুটবলপ্রেমীদের জন্য বরাদ্দ থাকল শুধু নাটক আর নাটক। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে ছিল দুই মাদ্রিদ। লিগ টেবলের শীর্ষে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের (Atletico Madrid) থেকে দু’পয়েন্ট পিছিয়ে ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ফলে পরিসংখ্যান ছিল সহজ–রিয়াল ভায়াদোলিদকে হারালেই চ্যাম্পিয়ন হবে অ্যাটলেটিকো। সুয়ারেজরা (Luis Suarez) ঠিক সেটাই করল। লা লিগার দুই হেভিওয়েট রিয়াল এবং বার্সাকে টপকে চ্যাম্পিয়ন হল তাঁরা। ৭ বছর পর ফের স্প্যানিশ লিগের খেতাব নিজেদের পকেটে পুরল তাঁরা।
শনিবার ভায়াদোলিদের বিরুদ্ধে প্রথমে পিছিয়ে পড়েও শেষমেশ ২-১ জিতে লা লিগা চ্যাম্পিয়ন হল দিয়েগো সিমিওনের (Diego Simione) দল। অন্য ম্যাচে ভিয়ারিয়ালের বিরুদ্ধে ২-১ জিতল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু সেই জয়ের কোনও মূল্য থাকল না। এ দিন প্রথমার্ধের শুরুর থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিল অ্যাটলেটিকো। তবে প্রতিআক্রমণে অ্যাটলেটিকোর রক্ষণকে সমস্যায় ফেলে ভায়াদোলিদ। বিপক্ষকে স্তম্ভিত করে অস্কার প্লানোর গোলে ১-০ এগোয় ভায়াদোলিদ। বিরতির পর অবশ্য আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে দেয় অ্যাটলেটিকো। অ্যাঞ্জেল কোরিয়ার গোলে সমতা ফেরায় সিমিওনের দল। শেষমেশ উরুগুয়ের মহাতারকা স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ গোল করে অ্যাটলেটিকোর জন্য জয় নিশ্চিত করেন।
[আরও পড়ুন: দু’বছর অন্তরই বসবে বিশ্বকাপের আসর! চিন্তাভাবনা শুরু করল FIFA]
লা লিগার শৃঙ্গে উঠে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত সিমিওনে। ম্যাচ শেষে যিনি বললেন, “আমরা যোগ্য দল হিসাবেই চ্যাম্পিয়ন হলাম। গোটা মরশুম আমার দল দুরন্ত সমস্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছে। এ দিনও প্রথমে পিছিয়ে পড়ার পরেও বিশ্বাস ছিল দল ঠিক ঘুরে দাঁড়াবেই। হল ঠিক সেটাই।” সুয়ারেজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সিমিওনে আবার যোগ করেন, “পরিষ্কার বলছি আমাদের লা লিগা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পিছনে অন্যতম কারিগর লুইস সুয়ারেজ। ওর মতো বিশ্বমানের স্ট্রাইকার দলের জন্য খুব বড় একটা সম্পদ।” অন্যদিকে, চ্যাম্পিয়ন হতে না পারায় হতাশার সুর জিদানের গলায়। ফের রিয়াল মাদ্রিদ (Real Madrid) ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। তাঁর সাফ কথা, রিয়ালের মতো ক্লাবের কোচিং করাতে হলে বড় ট্রফি জিততে হবে। আর এই মরশুমে আমার দলে, একটাও ট্রফি জেতেনি। তাই আমাকে ক্লাবের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে।