কুয়াশা দখল নিয়েছে শহরের। পারদ নিম্নমুখী। বছরটাও প্রায় শেষ হতে চলল। এই তো সময় তল্পিতল্পা গুটিয়ে বেরিয়ে পড়ার। আকাশপথে আউলি দেখার। মুন্সিয়ারির গ্লেসিয়ার ট্রেক করার। কেমন করে বেরিয়ে পড়বেন এই অজানার উদ্দেশে? উত্তর দিলেন তিতাস।
[ইগলুতে থাকতে চান? ভারতের এই শহরেই পাবেন এমন সুযোগ]
আউলি-
উত্তরাখণ্ডের যোশিমঠ থেকে ১৬ কিলোমিটার উঁচুতে অবস্থিত আউলি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় কৃত্রিম হ্রদ রয়েছে এখানে। যোশিমঠ পাহাড়ঘেরা আউলিতে পৌঁছে যাওয়া যায় রোপওয়ে চড়ে। এশিয়ার দীর্ঘতম ও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ১০টি টাওয়ার বিশিষ্ট কেবল কার এটি। চলার পথ ৪.১৫ কিলোমিটার। রোপওয়ে যাত্রার সুযোগ ছাড়বেন না। আউলিকে আকাশপথে দেখার অভিজ্ঞতা মনে থাকবে চিরকাল।
আউলির ছোট্ট জনপথ ঘেরা থাকে পাইন, ওক, দেবদারু গাছের সবুজে। সারা বছর যাওয়ার উপযুক্ত হলেও জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস আউলি ঘুরে আসার সেরা সময়। শীতে এখানে বরফ পড়ে প্রতিবার, স্কিইং-এর জন্য উপযুক্ত হয়ে ওঠে। আউলি থেকে গোরসন, পরসন থেকে টালি ও টালি থেকে কুয়ারি পাস ট্রেক করতে পারেন।
কীভাবে যাবেন? কোথায় থাকবেন?
কলকাতা থেকে দিল্লি হয়ে, গাড়িতে বা ট্রেনে পৌঁছে যান হরিদ্বার বা হৃষীকেশ। সেখানে রাত কাটিয়ে পরদিন যোশিমঠ যান। সময় লাগবে একবেলা। আউলি রিসর্ট কিংবা ক্লিফটপ ক্লাবে থাকতে পারেন।
[আন্টার্কটিকায় বেড়াতে যেতে চান? স্বপ্নপূরণ করবে এই সংস্থা]
মুন্সিয়ারি-
উত্তরাখণ্ডে ২,২৯৮ ফিট উচ্চতায় অবস্থিত ছোট্ট হ্যামলেট মুন্সিয়ারি। চারদিকে ঘন সবুজ প্রকৃতি, সঙ্গে পাহাড়, চঞ্চল ঝরনা আর কুয়াশার মতো মেঘের আস্তরণ। শীতকালে মুন্সিয়ারি ঢেকে যায় বরফের চাদরে। এখানে পাহাড়ের রূপ বদলায় ঘন ঘন। সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয় এখানে অবর্ণনীয় সুন্দর। নন্দাদেবী, নন্দ কোট, রাজারম্ভা ও নেপাল হিমালয় পর্বতের দেখা মেলে এখান থেকে।
ট্রেকিং করার আদর্শ জায়গা মুন্সিয়ারি। নামিক গ্লেসিয়ার ট্রেক করতে পারেন। মার্চ-এপ্রিল, মে ও অক্টোবর-নভেম্বর এখানে ঘুরে দেখার সেরা সময়। মার্চ-এপ্রিলে মুন্সিয়ারির অরণ্য ভরে যায় লাল রডোডেনড্রন ফুলে। পাহাড়ের চুড়ো তখন দুধসাদা বরফে গা ঢাকে।
মুন্সিয়ারি বার্ড ওয়াচিং-এর জন্যও আদর্শ। ব্লু হুইসলিং থ্রাশ, ব্ল্যাক থ্রোটেড টিটস, গ্রেট করবেট, কাঠঠোকরার মতো পাখির দেখা মেলে পাইন, দেবদারু ঘেরা জঙ্গলে। মুন্সিয়ারি থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে বার্থি জলপ্রপাত দেখে নিন।
কীভাবে যাবেন? কোথায় থাকবেন?
কলকাতা থেকে দিল্লি হয়ে বাই রোড পৌঁছে যান মুন্সিয়ারি। একরাতের জার্নি। ট্রেনে সময় লাগবে ৭ ঘণ্টা। থাকতে পারেন মিলাম ইন, হোটেল রয়্যাল প্যালেস, জনার্দন রিসর্ট মুন্সিয়ারি কিংবা হোটেল বালা প্যারাডাইসে।
[এই ভিডিও দেখলে কাশ্মীর সম্পর্কে আপনার ধারণাই বদলে যাবে]
The post যে পথে রয়েছে আকাশের ঠিকানা, বরফের হাতছানি… appeared first on Sangbad Pratidin.