shono
Advertisement

দ্বিতীয় ইনিংসে বড় রানের দিকে অস্ট্রেলিয়া

২৯৮ রানে এগিয়ে অজিরা, হাতে এখনও ছয় উইকেট।
Posted: 05:46 PM Feb 24, 2017Updated: 12:28 PM Feb 24, 2017

অস্ট্রেলিয়া-  প্রথম ইনিংসে ২৬০ অলআউট, দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৩/৪ (স্মিথ ৫৯ অপরাজিত, অশ্বিন ৬৮/৩)

Advertisement

ভারত- প্রথম ইনিংস ১০৫ অলআউট (কে এল রাহুল ৬৪, স্টিভ ও’কিফ ৩৫/৬)

অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে ২৯৮ রানে। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ।

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক অখ্যাত অজি স্পিনারের দাপটের সাক্ষী থাকল বৃহস্পতিবার পুণের এমসিএ স্টেডিয়াম। যাঁর সামনে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ল ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপ। ৩৫ রান দিয়ে একাই ছ’জন ভারতীয়কে ড্রেসিরুংমে পাঠালেন স্টিভ ও’কিফ। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর তাঁর একটি স্পেলেই ৯৪-৩ থেকে ১০৫ রানে অলআউট হয়ে যান বিরাটরা। এই সাত উইকেটের মধ্যে কেবল একটিই পান নাথান লিঁয়, বাকিগুলি ও’কিফের। ফলে প্রথম ইনিংসে ১৫৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ লিড পেয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে অজিদের রান চার উইকেটে ১৪৩। ক্রিজে রয়েছেন অধিনায়ক স্মিথ (৫৯) ও মিচেল মার্শ (২১)। লিড ২৯৮ রানের। যদিও প্রথম ওভারেই ওয়ার্নারকে (১০) প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়েছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। পরে শন মার্শকেও আউট করেন তিনি। শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অজি ব্যাটসম্যান। এরপর হ্যান্ডসকম্বও বেশিক্ষণ ক্রিজে ছিলেন না। ব্যক্তিগত ১৯ রানের মাথায় অশ্বিনের বলে আউট হয়ে যান তিনি। এরপর দলের হাল ধরেন ম্যাথু রেনশ ও স্টিভ স্মিথ। কিন্তু ৩১ রানে জয়ন্ত যাদবের বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন রেনশ। তবে এরপর আর কোনও উইকেট পড়েনি অজিদের।

ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার আলোককে বাঁচিয়ে মানবিকতার নজির এই ‘হিরো’-র

এর আগে দিনের প্রথম ওভারেই  অশ্বিনের বলে  মিচেল স্টার্ক আউট হলে অজিদের প্রথম ইনিংস শেষ হয়। আগের দিনের রানের সঙ্গে মাত্র চার রান যোগ করতে সক্ষম হন অজি পেসার। শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২৬০ রানে।জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল করেছিলেন দুই ভারতীয় ওপেনার। কিন্তু মুরলি বিজয়কে আউট করে ভারতকে প্রথম ধাক্কাটি দেন জোস হ্যাজেলউড। এরপরেই দুর্দান্ত একটি বলে চেতেশ্বর পূজারাকে আউট করেন মিচেল স্টার্ক।ওই ওভারেই ফিরে যান ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলিও। মাত্র দু’বল খেলে শূন্য রানে আউট হন তিনি। ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি এবং টেস্ট মিলিয়ে ১০৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচের পর শূন্য রানে ফিরলেন তিনি। ৪৪ রানে তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পর অবস্থা সামাল দেন ওপেনার কে এল রাহুল এবং অজিঙ্ক রাহানে। দু’জনে মিলে ধীরে ধীরে পার্টনারশিপ গড়ে তুলতে থাকেন। মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে ভারতের রান ছিল তিন উইকেটে ৭০।

ডেপুটি কালেক্টর হচ্ছেন অলিম্পিকে রুপোজয়ী সিন্ধু

মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পরেই স্টিভ ও’কিফের ঘূর্ণিঝড়ে উড়ে যায় টিম ইন্ডিয়া। ভারতের ৯৪ রানের মাথায় আউট হন কে এল রাহুল। তিনিই ও’কিফের প্রথম শিকার। ৬৪ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ভারতীয় ওপেনার। এরপরেই একের পর এক উইকেট পড়তে থাকে ভারতের। কোনও ব্যাটসম্যানই ও’কিফের স্পিনের জবাব দিতে পারেননি। ৩২.২ ওভারে ৯৫ রান থেকে ৪০.১ ওভারে ১০৫ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। অর্থাৎ ১১ রানের মধ্যেই বাকি সাত উইকেট পড়ে যায়। ভারতের শেষ উইকেটগুলি তুলতে মাত্র ৩৮ মিনিট সময় নেয় অজি বোলাররা। এর মধ্যে ও’কিফ একাই ছ’উইকেট নেন। একটি উইকেট পান লিঁয়।

‘নমস্তে গ্যাং’-এর আতঙ্কে ত্রস্ত রাজধানী

বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃতীয় দিনে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আউট করতে হবে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের। না হলে বড়সড় বিপাকে পড়বেন বিরাটরা। কারণ পুণের পিচে চতুর্থ ইনিংসে ৩৫০ রান তাড়া করাটাও যথেষ্ট কষ্টসাধ্য।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement