কলহার মুথোপাধ্যায়: পুলিশি জুলুমের প্রতিবাদ। বুধবার ব্যস্ত সময়ে বন্ধ রাখা হল দমদম-নাগেরবাজার রুটের অটো (Auto Service) পরিষেবা। যার জেরে বেজায় বিপাকে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। সমস্যা সমাধান হওয়ার আগে ওই রুটে অটো চালাতে নারাজ চালকরা।
বুধবার ব্যস্ত সময়ে বন্ধ রইল নাগেরবাজার-দমদম রুটের অটো পরিষেবা। এই রুটে প্রায় সাড়ে তিনশো অটো চলাচল করে। বর্তমানে শিফট করে চালানো হচ্ছে এই রুটের অটোগুলি। কিন্তু এর মাঝেও অটোগুলির বিরুদ্ধে পুলিশি জুলুমের অভিযোগ এনেছেন অটো চালকরা। তাঁদের অভিযোগ, লকডাউনের পর এমনিতেই যাত্রী সংখ্যা তলানিতে ঠেকেছে। রোজ সকালে রুটে নামছে না অটো। চালকদের অভিযোগ, এর মধ্যেই যাত্রী তোলার জন্য অপেক্ষা করলে পুলিশ গাড়িতে কাঁটা মেরে দিচ্ছে। যাত্রী তুলতে দাঁড়াতে দিচ্ছে না অনেক জায়গায়। আবার বহু ক্ষেত্রে অযথা কেস দিচ্ছে পুলিশ। যার ফলে চালকদের রুটিরুজিতে টান পড়ছে বলে অভিযোগ। এই জুলুমবাজি বন্ধের প্রতিবাদেই অনির্দিষ্টকালের জন্য অটো বন্ধ রাখা হল বলে খবর।
[আরও পড়ুন : নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ, কৈলাসের বিরুদ্ধে কমিশনের দ্বারস্থ ফিরহাদ হাকিম]
যদিও নাগেরবাজার-দমদম রুটের যাত্রীদের পালটা অভিযোগ, অটো কোনও ট্রাফিক নিয়ম মানে না। যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে পড়ে। ফলে স্বল্প পরিসরের রাস্তায় যানজট তৈরি হয়। একই কথা জানিয়েছে পুলিশও। তাঁদের দাবি, পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগই মিথ্যা। সূত্রের খবর, অটোর এই ‘বেয়াদপি’ কড়া হাতে দমন করতে চেয়েছিল পুলিশ। এদিন সংশ্লিষ্ট রুটের অটো ইউনিয়নের নেতাদের দাবি, এই পুলিশি জুলুমবাজি বন্ধ করতে হবে। ইউনিয়নের বৈঠক করে সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে। তবেই আবার এই ব্যস্ত রুটে অটো নামবে।
উল্লেখ্য, নাগেরবাজার-দমদম জংশন রুটটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নাগেরবাজার এলাকার বাসিন্দাদের মেট্রো থেকে বাড়ি যাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় অটো। আবার মেট্রো ধরতে গেলেও অটোই একমাত্র ভরসা হয় অফিসযাত্রীদের। এদিন সকাল থেকে সেই পরিষেবা বন্ধ থাকায় নাকাল হন যাত্রীরা।