মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: ফেব্রুয়ারির স্মৃতি ফিরল আবার। ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গিহানার পর যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল, শুক্রবার সকালের পর আবার সেই আতঙ্ক ফিরে এল উপত্যকাবাসীর মনে। এদিন পুলওয়ামার অবন্তীপোরা এলাকার বরো বন্দিনায় ভারতীয় সেনার সঙ্গে জঙ্গিদের গুলি বিনিময় হয়। সংঘর্ষে ২ জঙ্গিকে নিকেশ করেন জওয়ানরা।
অবন্তীপোরার ওই এলাকায় জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর এসেছিল ভারতীয় সেনার কাছে। খবর পেয়ে এলাকায় তল্লাশি চালায় ভারতীয় সেনা। খবর অনুযায়ী এলাকার একটি বাড়িতে জঙ্গিদের সন্ধানও পাওয়া যায়। কিন্তু ঘটনাক্রমে ভারতীয় সেনার তল্লাশি চালানোর সময়ই আগুন লেগে যায় বাড়িটিতে। জঙ্গিরা বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসে। তখনই জওয়ানরা জঙ্গিদের উপর গুলি চালায়। দুই জঙ্গিকে নিকেশ করে ভারতীয় সেনা।
[ আরও পড়ুন: পাওনা অর্থ না দেওয়ায় মহিলাকে পোলে বেঁধে হেনস্তা, ভাইরাল ভিডিও ]
অনুমান এই দুই জঙ্গি লস্কর-ই-তইবার সদস্য। তবে তাদের পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি। এলাকায় এখনও চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট। রেল সূত্রে খবর, নিরাপত্তার খাতিরে দক্ষিণ কাশ্মীরে রেল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে মধ্য কাশ্মীরের শ্রীনগর-বদগাঁও রুট এবং উত্তর কাশ্মীরের কাশ্মীর থেকে বারামুলা রুটে ট্রেন চলাচল করছে।
বুধবার কাশ্মীরের অনন্তনাগে সেনার উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। সেনা সূত্রে খবর, এদিন অন্যদিনের মতোই, ব্যস্ত কেপি চক বাসস্ট্যান্ডের কাছে টহল দিচ্ছিলেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। আচমকা মোটরবাইকে করে সেখানে হাজির হয় দুই জঙ্গি। মুখে কালো কাপড় জড়িয়ে এলোপাতাড়ি সেনা জওয়ানদের উপর গুলি চালাতে থাকে জেহাদিরা। ছোঁড়া হয় গ্রেনেড। দুই জঙ্গির কাছে অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় রাইফেল ছিল বলে জানা গিয়েছে। আচমকা হামলা হওয়ায় অপ্রস্তুতে পড়ে যান জওয়ানরা। ৫ জন সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হন। আহত হন পাঁচজন। এরপরই পালটা গুলি চালান জওয়ানরা। তাঁদের গুলিতে নিকেশ হয় এক জঙ্গি।
[ আরও পড়ুন: এনআরএস কাণ্ডের জের ভিনরাজ্যে, চিকিৎসকদের বিক্ষোভে একাধিক হাসপাতালে স্তব্ধ পরিষেবা ]