সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: গানের জগতের মানুষ রাজনীতির আঙিনায় এসে পড়েছেন বেশ কয়েক বছর আগেই। কেরিয়ার হিসেবে দুটিতেই দারুণ উন্নতি। বলিউডে পরিচিতি পেতে বাঙালি গায়কের লড়াই কম কিছু ছিল না। আর রাজনীতির মাটিতেও নিজস্ব কৌশলে ব্যাটিং করেছেন ভালই। আর জনসংযোগের ক্ষেত্রে গান তাঁর বাড়তি হাতিয়ার। বলা হচ্ছে তৃণমূলের তারকা বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়র (Babul Supriyo) কথা। যখন সাংসদ ছিলেন, তখনও রাজনীতির ময়দানে সুরের মেলবন্ধন ঘটিয়েছিলেন। শিবির বদলের পরও সেই পারফরম্যান্স অব্যাহত। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ার (Purulia) লধুরকা ময়দানে তৃণমূলের সভা ছিল। সেখানে গরমাগরম রাজনৈতিক বক্তৃতা নয়, বরং হালকাচ্ছলে বিরোধীদের কটাক্ষ করে গানে গানেই মঞ্চ মাতিয়ে রাখলেন তিনি।
গত সপ্তাহে পুরুলিয়ায় সভা করে গিয়েছেন বিজেপির (BJP)কোর কমিটির সদস্য তথা সিনে তারকা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। পঞ্চায়েত ভোটের আগে গেরুয়া শিবিরের সংগঠনকে চাঙ্গা করতে একাধিক জেলায় ঘুরেছেন তিনি। জঙ্গলমহল অর্থাৎ পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায় দলের নেতা-কর্মীদের বাড়ি গিয়ে মধ্যাহ্নভোজও সেরেছেন। বঙ্গে এসে গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতাদের ‘লাঞ্চ পলিটিক্স’-এর ধারা অব্যাহত রেখেছেন মহাগুরুও। বুথে বুথে সংগঠন মজবুত করার ভোকাল টনিকও দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: মানুষের মস্তিষ্কে চিপ বসিয়ে অন্ধত্ব থেকে পক্ষাঘাত সারাবেন, বিস্ফোরক দাবি মাস্কের]
সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে মিঠুন চক্রবর্তীর পালটা সভার আয়োজনও করেছে তৃণমূল (TMC)। বিশেষত ঠিক যে ময়দানে মিঠুন সভা করে গিয়েছিলেন, সেখানেই ঘাসফুল শিবির জনসভা জমিয়ে দেওয়ার মতো চ্যালেঞ্জ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার তাই পুরুলিয়ার লধুরকাকে তৃণমূল বেছে নিয়েছিল সভাস্থল হিসেবে। সেখানে মূল বক্তা ছিলেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra), বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়।
মহুয়ার কড়া, ঝাঁজালো রাজনৈতিক আক্রমণের পর বক্তব্য রাখতে ওঠেন বাবুল সুপ্রিয়। তিনি স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বিজেপিতে শ্লেষ করেন। কিন্তু সবশেষে ‘বম্বে কাঁপিয়ে ভারত নাচিয়ে’ তাঁর ‘বাঙালি’য়ানা ধরে রাখার গানটিই সভার সবচেয়ে আকর্ষণীয় হয়ে উঠল। বোঝালেন, পদ্ম আর ঘাসফুল শিবিরে যাওয়া-আসা করে তিনি রাজনীতির ময়দানে যতই পোড়খাওয়া হয়ে উঠুন না কেন, বাবুল সুপ্রিয় এখনও ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’র নেপথ্য নায়ক হিসেবেই অধিক পরিচিত, জনপ্রিয়।