দুলাল দে: ইংল্যান্ডের বারি এফসি-তে খেলে ফেরার পর ভারতীয় দলে স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন (Stephen Constantine) ছিলেন তাঁর প্রথম কোচ। সেই স্টিফেন এখন ইস্টবেঙ্গলের কোচ। তাই কলকাতায় এসেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আজ ইস্টবেঙ্গলে যাবেন বাইচুং ভুটিয়া (Bhaichung Bhutia)।
ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (AIFF) প্রেসিডেন্ট পদে কে বসবেন, তা ঠিক হবে শুক্রবার। স্বাভাবিকভাবেই মারাত্মক ব্যস্ত ভারতের ফুটবল আইকন। দেখতে পারেননি ডার্বি। যদিও মন পড়ে ছিল যুবভারতীতেই। ম্যাচ শেষ হওয়া মাত্রই ফোন করে জানতে চেয়েছেন খেলার ফল। মঙ্গলবার সকালে সিকিম থেকে কলকাতায় আসছেন । আর বিকেলেই ইস্টবেঙ্গল মাঠে যাবেন লাল-হলুদ কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের সঙ্গে দেখা করতে। উদ্বুদ্ধ করতে চান লাল-হলুদ ফুটবলারদেরও। কারণ ডার্বি খেলার অতীত অভিজ্ঞতা থেকে তাঁর মনে হয়েছে, এই সময় ফুটবলাররা যাতে মানসিকভাবে ভেঙে না পড়েন সেইজন্য এই মুহূর্তে লাল-হলুদ ফুটবলারদের উৎসাহিত করা ভীষনই জরুরি। আর তাই আজ লাল-হলুদ তাঁবুতে যাবেন বাইচুং।
[আরও পড়ুন: ভারতের কাছে হার পাকিস্তানের, ব্যাটারদেরই কাঠগড়ায় তুলছেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটাররা]
জেনেছেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে দল গড়ে ডার্বিতে নেমে পড়তে হয়েছে স্টিফেনকে। তাই বাইচুং মনে করছেন, ডুরান্ডের প্রথম ডার্বির ফলাফল দেখে এখনই কোনও সিদ্ধান্তে আসা উচিত না। ইস্টবেঙ্গলে একঝাঁক অনভিজ্ঞ ফুটবলার। শৌভিক চক্রবর্তী ছাড়া এর আগে কারও ডার্বি খেলার অভিজ্ঞতা নেই। তাই এই সময় ফুটবলাররা যাতে ভেঙে না পড়েন, আজ লাল-হলুদ ফুটবলারদের সঙ্গে আলোচনায় এই পরামর্শও দেবেন তিনি। তবে মূল উদ্দেশ্য স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের সঙ্গে দেখা করা। কারণ, তিনি ভারতীয় দলের অধিনায়ক থাকার সময় যেমন স্টিফেনকে কোচ হিসেবে পেয়েছিলেন, সেরকম বাইচুং যখন ফেডারেশনের টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান, সেই সময়ও স্টিফেনকে জাতীয় দলের কোচ করেছিলেন পাহাড়ি বিছে। ফলে স্টিফেনের প্রতি তাঁর একটা বাড়তি অনুভূতি সব সময়ই আছে। সেই কারণেই ইস্টবেঙ্গল কোচের সঙ্গে আজ দেখা করতে তাঁবুতে যাচ্ছেন।
রবিবারের ডার্বি নিয়ে বলতে গিয়ে ইস্টবেঙ্গলের অন্যতম শীর্ষকর্তা বলেছিলেন, “এই ডার্বিটা নিয়ে এখনই চূড়ান্ত কোনও মন্তব্য করা ঠিক হবে না। একজন ফুটবলার ছাড়া এরা কেউ কোনওদিন ডার্বিই খেলেনি। তার উপর দল তৈরি করার জন্য স্টিফেন সামান্য সময়ও পাননি। এই অবস্থায় রবিবারের ডার্বির ফল নিয়ে আলোচনা করা ঠিক না। আমি তো স্টিফেনের সঙ্গে একমত। আধা ফিট অবস্থায় খেলতে নেমে ফুটবলাররা যে চোট পাননি, সেটাই অনেক।”
মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত বলেন, “রবিবারের ডার্বির মান দারুণ কিছু হয়নি বলে যাঁরা মনে করছেন, তাঁদের বলি, এরকম অনেক ডার্বি হয়েছে যার খেলা ভাল হয়নি। আর যাঁরা বলছেন ডার্বিতে স্থানীয় ফুটবলারের সংখ্যা কম, তাঁদের বলি, সত্তরের দশক ছাড়া চিরকালই বাংলার দুই ক্লাবে ভিন রাজ্যের ফুটবলার বেশি ছিল। ইস্টবেঙ্গল যে পঞ্চপাণ্ডব নিয়ে গর্ব করে, তাঁরা কিন্তু কেউ স্থানীয় নন।”