সুকুমার সরকার, ঢাকা: লাগামহীন শিকারের ফলে বাংলাদেশে উৎপাদন কমছে রূপালি শস্যের। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামল সরকার। আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত খোকা ইলিশ শিকার নিষিদ্ধ করল মৎস্যসম্পদ মন্ত্রক।
[হাড়হিম করা শীতেও বাঙালির পাতে মিলবে খাস পদ্মার ইলিশ]
বাংলাদেশের ১৭টি জেলা-চাঁদপুর, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল, পটুয়াখালি, বরগুনা, ফিরোজপুর, মাদারিপুর, শরিয়তপুর, ঝালকাঠি, মুন্সিগঞ্জ, নোয়াখালি, বাগেরহাট, মানিকগঞ্জ, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিরাজগঞ্জে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৬৭৪ মৎস্যজীবীদের প্রতি মাসে ৪০ কিলোগ্রাম করে চার মাস খাদ্য সহায়তা দেবে সরকার। এই জেলাগুলির ৮৫ উপজেলায় মৎস্যজীবীরা ও তাঁদের পরিবার আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় এ সহায়তা পাবেন। এই কর্মসূচির জন্য চার মাসে মোট চাল লাগবে ৩৯ হাজার ৭৮৮ টন। জেলাশাসক দুঃস্থ মৎস্যজীবীদের মধ্যে এই চাল বিতরণ করবেন। খোকা ইলিশ শিকার থেকে তাঁদের বিরত রাখতেই এই উদ্যোগ প্রশাসনের।
[আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই বাড়ছে খোকা ইলিশের রমরমা]
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে দেশে প্রতি বছর ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত খোকা ইলিশ (লম্বায় ৯ ইঞ্চির চেয়ে ছোট) আহরণ, ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ থাকে। এর অন্যথা হলে দোষী সাব্যস্তের এক থেকে দুই বছর কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকার জরিমানার বিধান রয়েছে। উল্লেখ্য, চলতি মাসেই দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ বছর পর ভারতে ইলিশ রপ্তানি থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। মৎস্যজীবীদের জাল এবং নৌকা দিয়ে স্বনির্ভর করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। আবার ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য নানা উদ্যোগও গ্রহণ করা হচ্ছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল জাটকা নিধন বন্ধ করা, বিচরণ ক্ষেত্রগুলির সংরক্ষণ, নদীতে ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা করা প্রভৃতি।” উল্লেখ্য, হাসিনা সরকারের তরফে গৃহীত একাধিক পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশের ইলিশ জিআই তকমা অর্জন করেছে।
The post ইলিশ রক্ষায় তৎপর বাংলাদেশ প্রশাসন, নিষিদ্ধ হল শিকার appeared first on Sangbad Pratidin.