shono
Advertisement

‘সংবাদ প্রতিদিন’-এর খবরের জের, বীরভূমের লোকশিল্পীকে প্রাপ্য সম্মান বাংলাদেশি পরিচালকের

শিল্পীর 'আটটা বাজে দেরি করিস না' গানটি ব্যবহৃত হয়েছে বাংলাদেশের হাওয়া ছবিতে।
Posted: 10:05 PM Apr 27, 2023Updated: 10:05 PM Apr 27, 2023

নন্দন দত্ত, বীরভূম: সংবাদ প্রতিদিনের খবরের জের। শেষমেষ ফোন মারফত যোগাযোগ করলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) হাওয়া সিনেমার পরিচালক মেজবাউর রেহেমান সুমন। সিউড়ির লালকুঠিপাড়ার বাসিন্দা মনিরুদ্দিন আহমেদের সঙ্গে। পাশাপাশি তাঁকে যথাযোগ্য সম্মান দেওয়ার আশ্বাস দেন। উল্লেখ্য সিউড়ির (Suri) বাসিন্দা মনিরুদ্দিন সাহেবকে তাঁর সন্মান ও প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল, এই খবর প্রথম প্রকাশ্যে আসে সংবাদ প্রতিদিনে। একইভাবে সিউড়ির অপর এক শিল্পী রতন কাহারের বড়োলোকের বিটি লো গানটি গেয়েছিলেন মুম্বাইয়ের রক গায়ক। রতনবাবুকে তাঁর প্রাপ্য ও সম্মান দেওয়া হয়নি। সেবারও সম্মান ফিরে পেয়েছিলেন অশিতীপর রতন কাহার। এবারও সংবাদ প্রতিদিনের লড়াইয়ে আশ্বাস পেলেন সিউড়ির আরেক অশিতীপর মনিরুদ্দিন সাহেব।

Advertisement

বাংলাদেশে সদ্য মুক্তি পায় ‘হাওয়া’ সিনেমাটি। সেই ছায়াছবির গান ওপার বাংলার সীমান্ত ছাড়িয়ে এপার বাংলাতেও অন্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছে। সেই সিনেমারই অতি প্রচলিত গান হল ‘আটটা বাজে দেরি করিস না’। কিন্তু গানের রচয়িতার স্থানে লেখা রয়েছে ‘সংগৃহীত’। কিন্তু গানটির রচয়িতা এখনও জীবিত। এখনও তিনি যথারীতি লোকগানের চর্চা করে চলেছেন। তিনি সিউড়ির লালকুঠিপাড়ার মনিরুদ্দিন আহমেদ। এই নিয়ে মনিরুদ্দিনবাবু সংবাদ প্রতিদিনের কাছে ক্ষোভ উগরে দেন।

[আরও পড়ুন: ‘অস্বাভাবিক আচরণ, কোনও সম্পর্ক নেই’, সুকন্যার গ্রেপ্তারিতেও উদাসীন অনুব্রতর দাদা]

সংবাদ প্রতিদিনের সূত্র ধরেই সেই খবর জানতে পারেন সিনেমার পরিচালক মেজবাউর রেহেমান সুমন। তিনি ফোন মারফত মনিরুদ্দিনবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পাশাপাশি তাঁকে যথাযোগ্য সম্মান দেওয়ার আশ্বাস দেন। এই নিয়ে মনিরুদ্দিনবাবুর ছেলে জামাল আমেদ বলেন, “সুমনবাবু ফোন করেছিলেন। তিনি বলেছেন যে তিনি সংগীতকারের খোঁজ করেছেন। কিন্তু পান নি। তাই সংগৃহীত লিখেছেন। তবে তিনি বাবাকে সম্মান প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন। এখন দেখি কি হয়।” উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালে ‘আটটা বাজে দেরি করিস না’ গানটি লিখেছিলেন মনিরুদ্দিন আহমেদ। সেই সময় ক্যাসেটও হয়েছিল। গেয়েছিলেন নামী লোকশিল্পীরা। সেই গানই ফের সম্প্রতি ‘হট কেক’ হয়ে ওঠে বাংলাদেশের সেলুলয়েডে। কিন্তু, তার জন্য নূন্যতম সম্মানটুকুও মেলেনি গানটির রচয়িতার। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে লোক সঙ্গীতের জগতে।

[আরও পড়ুন: শিক্ষিকার এত সম্পত্তি! গরু পাচারের ‘সুবিধাভোগী’ হওয়ার খেসারত দিতে হল সুকন্যাকে, দাবি ইডি সূত্রে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement