সুকুমার সরকার, ঢাকা: সনাতন শাস্ত্রীয় আইন পরিবর্তনের পথে বাংলাদেশ (Bangladesh)। এহেন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে এবার ঢাকার রাজপথে বিক্ষোভ প্রদর্শন করল বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ। সংগঠনটির দাবি, সনাতনী আইনে পরিবর্তন মেনে নেওয়া হবে না।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশ হয়ে ভারতে ঢুকছে পাকিস্তানে তৈরি জাল নোট, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য]
বাংলাদেশের বর্তমান আইনে হিন্দু সম্প্রদায়ের মেয়েরা বাবার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত। ফলে হিন্দু উত্তরাধিকার আইন সংশোধনের প্রস্তাব দিয়ে আসছেন দেশের বিশিষ্টজনেরা। হিন্দু সম্প্রদায়ের ছেলেদের মতো মেয়েরাও যেন বাবার সম্পত্তি সমানভাবে পান, সেই প্রস্তাব সামনে রেখে খসড়া আইনের প্রস্তাবও আইন কমিশনে দিয়েছেন তাঁরা। এ ছাড়া সম্প্রতি উচ্চ আদালতে এই সংক্রান্ত একটি মামলাও হয়েছে। তারপরই ‘সনাতন শাস্ত্রীয় আইন পরিবর্তন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে’ প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবার রাজধানী ঢাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ। এই আইন পরিবর্তন না করে হিন্দুদের সুরক্ষায় সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন করার দাবি জানে সংগঠনটি।
বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের দাবি, হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীরা বিদ্যমান সনাতন শাস্ত্রীয় আইনে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত নন। ফলে আইন সংশোধনের পক্ষে আনা যুক্তি ভিত্তিহীন। একইসঙ্গে, সংগঠনটি আরও দানী করেছে যে শাস্ত্রীয় আইনের পরিবর্তন করা হলে হিন্দুদের পরিবারে ববাদের সৃষ্টি হবে। এই বিষয়ে হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাজন কুমার মিশ্র বলেন, “হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে অবিবাহিত কন্যা বাবার সম্পদের তিন ভাগের এক ভাগ পান। বিয়ে হয়ে গেলে মেয়ের গোত্র পরিবর্তন হয়ে যায়। বিয়ের সময় মেয়েকে বাবার বাড়ি থেকে অনেক কিছু দেওয়া হয়। আবার বিয়ের পর স্বামীর গোত্র ধারণ করায় মেয়েরা স্বামীর সম্পদের অংশ পান।”
উল্লেখ্য, ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে প্রয়াত বাবার সম্পত্তির উত্তরাধিকার চেয়ে মামলা করেন বেসরকারি একটি ব্যাংকের পরিচালক অনন্যা দাশগুপ্ত। বনানীর বাসিন্দা অশোক দাশগুপ্তের মেয়ে তিনি। রিটের প্রাথমিক শুনানিতে ১৪ ফেব্রুয়ারি বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তির (স্থাবর-অস্থাবর) উত্তরাধিকার থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারী বা কন্যাকে বঞ্চিত করার বিধান কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট। আগামী রবিবার এই মামলায় ফের শুনানি হবে।