সুকুমার সরকার, ঢাকা: দেশে ঢুকে পড়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাড়িভাড়া বা আশ্রয় না দেওয়ার নির্দেশ জারি করল পুলিশ৷ শনিবার, এই সংক্রান্ত একটি বিবৃতি জারি করেন শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক সহেলি ফিরদৌস৷ ওই বিবৃতিতে নাগরিকদের বলা হয়েছে তাঁরা যেন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাড়ি ভাড়া বা আশ্রয় দেওয়া থেকে বিরত থাকেন৷
সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত কক্সবাজারের নির্দিষ্ট ক্যাম্পেই থাকতে হবে শরণার্থীদের৷ ক্যাম্পের বাইরে কেউ বাড়ি ভাড়া নিতে পারবেন না। রোহিঙ্গারা নির্দিষ্ট ক্যাম্পের বাইরে দেশের অন্য জায়গায় যাতায়াতও করতে পারবে না।
[হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে হত্যালীলা, শিউরে ওঠা বিবরণ রোহিঙ্গা শরণার্থীর]
মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে চলা সংঘাতের জেরে এপর্যন্ত প্রায় ৬ লক্ষ শরণার্থী প্রবেশ করেছে বাংলাদেশে৷ কুতুপালং ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন শরণার্থীরা৷ এই বিশালসংখ্যক উদ্বাস্তুদের জন্য ক্রমশ চাপ বাড়ছে দেশের অর্থনীতির উপর৷ এই সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে শাসক দল আওয়ামি লিগ৷ আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা দেশের জন্য বিশাল বোঝা৷ ইস্যুটি সরকারের জন্য একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ৷
জানা গিয়েছে, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য ১৪ হাজার বাড়ি তৈরি করতে চলেছে বাংলাদেশ সরকার৷ পরিকল্পনা অনুযায়ী, কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের কাছে দুই হাজার একর জমিতে একটি বড়সড় শিবির নির্মাণ করা হবে। বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রকের সচিব শাহ কামাল বলেন, প্রায় চার লক্ষ রোহিঙ্গার জন্য ১৪ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলা সংঘাতের জেরে প্রায় ৬ লক্ষ শরণার্থী বাংলাদশে আশ্রয় নিয়েছেন। রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ ইতিমধ্যে, ভারত, ইন্দোনেশিয়া-সহ বেশ কয়েকটি দেশ থেকে শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে৷ তবে প্রতিদিনই সীমান্ত পেরিয়ে হাজার হাজার উদ্বাস্তুদের আগমনে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে৷
[রোহিঙ্গা শরণার্থীদের হাহাকারে কান্নায় ভেঙে পড়লেন শেখ হাসিনা]
The post রোহিঙ্গাদের ভাড়ায় বাড়ি না দেওয়ার নির্দেশ দিল পুলিশ appeared first on Sangbad Pratidin.