সুকুমার সরকার, ঢাকা: পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে মিলবে ৫ লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তা। গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গহানি হলে তিন লক্ষ টাকার এককালীন সহায়তা পাবেন ভুক্তভোগী। এবার এই সমস্ত বিধান রেখে সড়ক পরিবহণ আইন-২০১৮ বিধিমালা জারি করল বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার।
জানা গিয়েছে, গত ২৭ ডিসেম্বর এই বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসেই সড়ক পরিবহণ বিল পাশ হয়েছিল। আর আইন হওয়ার চার বছরের বেশি সময় পর অবশেষে জারি হয়েছে বিধিমালা। বলে রাখা ভাল, আইনটি আগে হলেও ক্ষতিপূরণ-সহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। এবার তা স্পষ্ট হবে। বিধিমালা অনুযায়ী, চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সম্ভাবনা না থাকলে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে ৩ লক্ষ টাকা। তবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকলে আর্থিক সহায়তার পরিমাণ হবে এক লক্ষ টাকা। ক্ষতিপূরণের দাবিগুলি ১২ সদস্যের একটি ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে করোনা আতঙ্ক, ঢাকায় চিনা নাগরিকের দেহে মিলল ওমিক্রন বিএফ-৭]
নতুন বিধিমালা মোতাবেক, আর্থিক সহায়তা পাওয়ার জন্য ফর্ম অনুযায়ী দুর্ঘটনার সর্বোচ্চ ৩০ দিনের মধ্যে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করতে হবে। আবেদন দাখিল করার তারিখ থেকে ১০ দিনের মধ্যে বোর্ডের চেয়ারম্যান অনুসন্ধান কমিটি গঠন করবেন। এই কমিটি ৩০ দিনের মধ্যে আবেদনকারীর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের জন্য অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন বোর্ডের কাছে দেবে। প্রতিবেদন দাখিলের ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ট্রাস্টি বোর্ড আবেদন মঞ্জুরপূর্বক আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আর্থিক সহায়তা চেকের মাধ্যমে দিতে হবে।
এছাড়া বিধিমালায় বলা আছে, আর্থিক সহায়তার জন্য একটি আর্থিক সহায়তা তহবিল থাকবে এবং সেখানে মোটর মালিকদের গাড়িপিছু নির্দিষ্ট পরিমাণে বার্ষিক বা এককালীন চাঁদা দিতে হবে। এই তহবিল গঠনে মোটরসাইকেলের মালিককে এককালীন ১০০০ টাকা দিতে হবে। বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও প্রাইম মুভারের জন্য বার্ষিক দেড় হাজার টাকা দিতে হবে। মিনিবাস, মিনি ট্রাক ও পিকআপের জন্য বার্ষিক ৭৫০ টাকা ধার্য হয়েছে। কার, জিপ ও মাইক্রোবাসের জন্য বার্ষিক ৫০০ টাকা দিতে হবে। আর থ্রি-হুইলার ও অন্যদের বার্ষিক ৩০০ টাকা দিতে হবে।