সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে সদ্য ঘটা ট্রেন দুর্ঘটনায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তে জানা গিয়েছে, ট্রেন চলাকালীনই তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেসের চালক ও সহকারী ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। শুধু তাই নয়, ঘুমনোর আগে দুজনেই ইঞ্জিনের অটো-ব্রেকে ইট চাপা দিয়ে দেন।
রেল সূত্রে খবর, দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগে চালক তাসেরউদ্দিন ও সহকারী অপু দে-কে সাসপেন্ড করা হয়েছে। রেলের এক শীর্ষ আধিকারিকের কথায়, ট্রেনগুলিতে অটোব্রেক সিস্টেম থাকে। ট্রেন তখনই চলে যখন ওই ব্রেক সিস্টেমে পা দিয়ে চাপ দেওয়া হয়। ব্রেকে চাপ না দিলে ট্রেন চলে না। তাই ট্রেন যাতে না থামে, তার জন্যেই ব্রেকে ইট চাপা দিয়েছিলেন চালক ও সহকারী চালক। রেলপথ মন্ত্রকের সচিব মোফাজ্জল হোসেন জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে তিনটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ভোর রাতে ব্রাহ্মণবেড়িয়া জেলার কসবা থানা এলাকায় দুই যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে প্রশাসন। ওই দিন ভোর ৩টে নাগাদ ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী ‘উদয়ন এক্সপ্রেস’ লুপ লাইন দিয়ে মন্দবাগ স্টেশনে প্রবেশ করছিল রাত ২.৪৩ মিনিটে। একই সময় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী ‘তুর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস’ মন্দবাগ স্টেশনের মূল লাইনে দাঁড়ানোর কথা ছিল। তবে তুর্ণা এক্সপ্রেস স্টেশনে না দাঁড়িয়ে স্বাভাবিক গতিতে চলতে থাকে। উদয়ন এক্সপ্রেস লুপ লাইনে ঢোকার মুখে তুর্ণা এক্সপ্রেসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। উদয়ন এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনের দিক থেকে ৭, ৮ ও ৯ নম্বর বগি তুর্ণার ইঞ্জিনের ধাক্কায় চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়। দুর্ঘটনার পর ভোর ছ’টা নাগাদ উদয়ন এক্সপ্রেস ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি কোচ ও পেছনের তিনটি কোচ রেখে দিয়ে ছয়টি কোচ নিয়ে সিলেটে রওনা দেয়।
[আরও পড়ুন: আবরার হত্যাকাণ্ডে ১ মাসের মধ্যে চার্জশিট পেশ, হাসিনাকে ধন্যবাদ বিরোধী সাংসদের]
The post ব্রেকে ইট চাপা দিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন চালক, বাংলাদেশ ট্রেন দুর্ঘটনায় নয়া তথ্য appeared first on Sangbad Pratidin.