shono
Advertisement
Bangladesh

বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনে ঝরেছে ১৯৭টি প্রাণ! সাংগঠনিক দুর্বলতা মানল শাসকদল

আওয়ামি লিগের অভিযোগ, এই আন্দোলনে উসকানি দিয়েছে ও সশস্ত্রভাবে অংশগ্রহণ করেছে জামাত ও বিএনপি।
Published By: Suchinta Pal ChowdhuryPosted: 08:23 PM Jul 24, 2024Updated: 08:23 PM Jul 24, 2024

সুকুমার সরকার, ঢাকা: সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। ছাত্র আন্দোলনে রক্তাক্ত হয়েছে দেশের নানা প্রান্ত। শাসকদল আওয়ামি লিগের অভিযোগ, এই আন্দোলনে মুখোশের আড়ালে উসকানি দিয়েছে ও সশস্ত্রভাবে অংশগ্রহণ করেছে জামাত ও বিএনপি। যার ফলে এখনও পর্যন্ত ঝরেছে ১৯৭টি প্রাণ। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে বহু মানুষের। ছাত্রদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করতে না পারাকে সাংগঠনিক দুর্বলতা হিসেবে দেখছে আওয়ামি লিগ। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

Advertisement

এবারের ছাত্র বিক্ষোভ ছিল দ্বিতীয় দফার আন্দোলন। কোটার সংস্কারের মূল আন্দোলন শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ালে আন্দোলন থেমে গিয়েছিল। পরে আদালতের এক রায়ের পরে দ্বিতীয় দফা আন্দোলন শুরু হয় চলতি বছরের জুন থেকে। এর পর তা হিংসার রূপ নেয়। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে সরকার ১৭ জুলাই সব ধরনের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে। এক ধাক্কায় থমকে যায় জনজীবন। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। হিংসাত্মক আন্দোলনের পরে কোটা সংস্কার করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ৫৬ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশে নেমে এসেছে সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ। মুক্তিযোদ্ধা সংরক্ষণ ৩০ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৫ শতাংশ।

[আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ বাতিল করে বিজ্ঞপ্তি জারি বাংলাদেশে, স্বাক্ষর প্রধানমন্ত্রী হাসিনার

এদিকে, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার দাবিতে ছাত্রদের আন্দোলন কেন্দ্র করে জঙ্গি-জামাত ও বিএনপির নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড প্রতিরোধ করতে না পারাকে সাংগঠনিক দুর্বলতা হিসেবে মেনে নিয়েছে আওয়ামি লিগ। যুবলিগ, ছাত্রলিগ,আওয়ামি লিগ, স্বেচ্ছাসেবক লিগ, কৃষক লিগ, যুব মহিলা লিগ, মহিলা আওয়ামি লিগ-সহ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সমন্বয়হীনতা কাটিয়ে ওঠার নির্দেশনা দিয়েছেন হাসিনা। একই সঙ্গে দায়িত্বশীল পদে থেকে দলের সংকট মুহূর্তে গা ঢাকা দেওয়া নেতা এমনকী দলের সাংসদ-সহ প্রভাবশালী যাঁরা বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন তাঁদের তালিকা করার নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামি লিগ সভানেত্রী হাসিনা।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক হিংসতা ও নাশকতার অভিযোগে গত চারদিনে অন্তত ২ হাজার ৬৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হিংসার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন থানায় ১৫৪টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় বিএনপি-জামাতের শীর্ষ ২০ নেতা-সহ ১ হাজার ৭৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর হামলা, রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে ১৭টি থানায় দায়ের করা মামলায় ৪৯৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: সেরে উঠছে বাংলাদেশ! শিথিল হচ্ছে কারফিউ, স্বাভাবিক টেলিকম ব্যবস্থা

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। ছাত্র আন্দোলনে রক্তাক্ত হয়েছে দেশের নানা প্রান্ত।
  • শাসকদল আওয়ামি লিগের অভিযোগ, এই আন্দোলনে মুখোশের আড়ালে উসকানি দিয়েছে ও সশস্ত্রভাবে অংশগ্রহণ করেছে জামাত ও বিএনপি।
  • যার ফলে এখনও পর্যন্ত ঝরেছে ১৯৭টি প্রাণ। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে বহু মানুষের।
Advertisement