সুকুমার সরকার, ঢাকা: ধর্ষণ থেকে বাঁচতে এক বৃদ্ধের পুরুষাঙ্গ কেটে দিলেন তরুণী। সোমবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশের উত্তর জনপদ জেলা নাটোরে। পুরুষাঙ্গ হারানো ব্যক্তির নাম চাঁন মহম্মদ (৫৫)। অভিযুক্ত ওই এলাকারই বাসিন্দা বলে খবর।
[আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের হয়ে অত্যাচার, ৩ জামাত নেতাকে ফাঁসির সাজা বাংলাদেশে]
স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত চাঁন মহম্মদ ওই তরুণীর গলা ও হাত কামড়ে জখম করে দেয়। দু’জনকেই স্থানীয়রা উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভরতি করে। পরে চাঁনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়। নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী জানান, দু’বছর আগে তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। অনেক আগে থেকেই চাঁন তাঁকে কুপ্রস্তাব দিচ্ছিল। বিষয়টি স্থানীয় প্রধানদের জানালেও কোনও কাজ হয়নি। সোমবার রাতে ঘরের বাইরে বের হলে তাঁকে জাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে অভিযুক্ত। বাধা দিলে গলা ও হাত কামড়ে জখম করে। কোনও উপায় না পেয়ে প্রাণ বাঁচাতে হাতের কাছে থাকা ছুরি দিয়ে তার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেন নির্যাতিতা।
এদিকে, দেশের দক্ষিণ জনপদ জেলা খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার বাসিন্দা এক তরুণী অভিযোগ করেছেন, আইনি সহায়তা দেওয়ার নামে তাঁকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন পুলিশ আধিকারিক মঞ্জুরুল হাসান মাসুদ। একই দিন মাসুদ সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেন যে, ‘তিনি ধর্ষণ করেননি।’ তরুণীর বাবা খুলনা সদর থানায় মাসুদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন। নেত্রকোনা জেলার মদনে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে জঙ্গলে নিয়ে এক গৃহবধূকে (২৪) গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এই ঘটনায় সোমবার ছাদেক মিয়াকে (৫০)গ্রেপ্তার করেছে মদন থানার পুলিশ। গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূ আটপাড়া উপজেলার বাসিন্দা।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরত জাহান ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড কাঁপিয়ে দিয়েছিল গোটা বাংলাদেশকে (Bangladesh)। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হওয়ায় কড়া আইনের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ। সম্প্রতি, ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে মৃত্যুদণ্ডে সম্মতি দিয়ে নয়া আইন প্রণয়ন করেছে হাসিনা সরকার। কিন্তু তারপরও থামছে না নারী নির্যাতন।