shono
Advertisement
Sheikh Hasina

বাংলাদেশে প্রভাব বাড়ছে চিনের! হাসিনাকে দিল্লি আসার আমন্ত্রণ মোদির

আগামী জুলাই মাসে ভারত সফরে যেতে পারেন হাসিনা।
Published By: Suchinta Pal ChowdhuryPosted: 05:44 PM May 09, 2024Updated: 05:44 PM May 09, 2024

সুকুমার সরকার, ঢাকা: আগামী জুলাই মাসে ভারত সফরে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা! তাঁকে দিল্লি আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাই এই সফর নিয়ে আলোচনা করতে বাংলাদেশে এসেছেন ভারতের বিদেশসচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা। বৃহস্পতিবার তিনি বৈঠক করেন হাসিনার সঙ্গে।

Advertisement

সূত্রের খবর, বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকায় পা রাখেন কোয়াত্রা। বিমানবন্দরে বিদেশমন্ত্রকের মহাপরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া) এ টি এম রোকেবুল ইসলাম এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা তাঁকে স্বাগত জানান। এর পর বৃহস্পতিবার সকালে তিনি যান ঢাকার গণভবনে। সেখানেই তিনি বৈঠক করেন হাসিনার সঙ্গে। এর পাশাপাশি তিনি আলোচনায় বসেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাসান মাহমুদের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে হাসিনার আসন্ন ভারত সফরের সূচি চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটাই হাসিনার প্রথম ভারত সফর।

[আরও পড়ুন: ভোটকেন্দ্রে গুলি, ককটেল বিস্ফোরণ, বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের মধ্যেই বাংলাদেশে সমাপ্ত উপজেলা নির্বাচন]

এদিকে, তিস্তা জলবণ্টন নিয়ে হাসান মাহমুদের সঙ্গে আলোচনা করেন কোয়াত্রা। তিস্তায় চিনের অর্থায়ন নিয়েও কথা বলেন তিনি। এই বৈঠকের বিষয়ে হাসান সংবাদমাধ্যমে বলেন, "তিস্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিস্তার জন্য আমরা একটা বড় প্রকল্প নিয়েছি। ভারত সেখানে অর্থায়ন করতে চায়। আমি বলেছি, তিস্তায় যে প্রকল্পটি হবে, সেটা আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী হবে। আমাদের প্রয়োজন যেন পূরণ হয়।"

তিস্তায় চিনও অর্থায়ন করতে চায়। এপ্রসঙ্গে বাংলাদেশের অবস্থান জানতে চাইলে হাসান বলেন, "ভারত যে এ ক্ষেত্রে সহায়তা করতে চাইছে, সে বিষয় নিয়েই আজকে আলোচনা হয়েছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বহুমাত্রিক সম্পর্ক। যা অত্যন্ত দৃঢ়। এই সম্পর্ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। দুই দেশের সংযুক্তি নিয়ে বিনয় কোয়াত্রার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।" তিস্তা আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে তাঁরা আলোচনা করেছেন বলে খবর।

উল্লেখ্য, প্রথমবার একসঙ্গে সামরিক মহড়া করতে চলেছে চিন ও বাংলাদেশ। এবার সামরিক ক্ষেত্রেও ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করতে উদ্যোগী হয়েছে বেজিং। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়ে ঢাকায় আনাগোনা বেড়েছে চিনা আধিকারিকদের। ফলে বন্ধুদেশের উপর কতটা প্রভাব বিস্তার করছে ‘ড্রাগন’ সেদিকেই তীক্ষ্ণ নজর রাখছে নয়াদিল্লি। এই আবহে হাসিনার এই ভারত সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মত বিশ্লেষকদের।

[আরও পড়ুন: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে থমথমে বাংলাদেশে, রয়েছে সংঘর্ষের আশঙ্কাও]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • সূত্রের খবর, বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকায় পা রাখেন কোয়াত্রা। বিমানবন্দরে বিদেশমন্ত্রকের মহাপরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া) এ টি এম রোকেবুল ইসলাম এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা তাঁকে স্বাগত জানান।
  • এর পর বৃহস্পতিবার সকালে তিনি যান ঢাকার গণভবনে। সেখানেই তিনি বৈঠক করেন হাসিনার সঙ্গে।
  • এর পাশাপাশি তিনি আলোচনায় বসেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাসান মাহমুদের সঙ্গে।
Advertisement