সুকুমার সরকার, ঢাকা: ইদের আনন্দে পরিবারের সঙ্গে শামিল হতে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন সকলে। কিন্তু উদযাপন শেষে এবার কর্মস্থলে ফেরার পালা। কিন্তু ফিরবেন কীভাবে? ট্রেনের টিকিটের দাম চড়া। কালোবাজারির রমরমা। সাধারণ যাত্রীরা ট্রেনের টিকিট পেতে নাজেহাল হচ্ছেন। বাংলাদেশের (Bangladesh) জামালপুরের যাত্রীরা এখন কাজে ফিরতে প্রবল সমস্যায় পড়েছেন।
ইদ (Eid) শেষে ফিরতি রেলযাত্রীদের বিড়ম্বনা দ্বিগুন বেড়েছে জামালপুরে। ঢাকা-জামালপুরের একমাত্র যোগাযোগ রেলপথ। এখান থেকে ঢাকা ফেরার জন্য ভরসা ট্রেনই। ইদ উপলক্ষে যাত্রী পরিবহণের জন্য অতিরিক্ত একটি ট্রেনও দেওয়া হয়েছে। তবুও সংকট কাটছে না। ট্রেনের টিকিটই (Train Tickets) মিলছে না। তা কালোবাজারিদের হাতে চলে গিয়েছে। কালোবাজারির দাপটে সাধারণ দামের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি টাকায় মিলছে টিকিট। স্টেশন, প্ল্যাটফর্ম ও আশপাশের দোকানে প্রকাশ্যেই এভাবে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। যাত্রীদের অভিযোগ, নিত্যপ্রয়োজনীয় টিকিটের কালোবাজারি বন্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপই করা হয়নি।
[আরও পড়ুন: চাকরির নামে প্রতারণা, নিজের হবু স্বামীকে গ্রেপ্তার করলেন অসমের ‘দাবাং’ মহিলা পুলিশ অফিসার]
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটা জানা গিয়েছিল, ৮টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হবে। সময়ের মধ্যেই যাত্রীরা প্ল্যাটফর্মে হাজির হন। কিন্তু সেখানে টিকিট কালোবাজারি চক্রের সদস্যদের সঙ্গে হট্টগোল শুরু হয়। যাত্রীদের অভিযোগ, গত বুধবার বিকেল থেকে কালোবাজারি চক্রের সদস্যরা আগে থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। যেসব টিকিট কাউন্টার থেকে দিচ্ছে, সব টিকিট তাঁরাই কেটে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু জিআরপি, পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
[আরও পড়ুন: চিদম্বরমকে হেনস্তার ‘এফেক্ট’! অধীরকে PAC চেয়ারম্যান পদ থেকে সরাতে পারে কংগ্রেস হাইকমান্ড]
মাদারগঞ্জ এলাকার এক যাত্রী অভিযোগ করেন, ভোর ৫টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও কাউন্টার থেকে টিকিট পাননি। পরে কালোবাজারিদের কাছে গিয়ে টিকিট চাইলে ২৫৫ টাকার টিকিটের জন্য এক হাজার টাকা দর হাঁকান কারবারিরা। তাঁর কাছে টাকা না থাকায় টিকিট ছাড়াই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। এরকমই পরিস্থিতি জামালপুরের অনেকের।