অর্ণব আইচ: চিকিৎসার জন্য নগদ টাকা জমা নিতেই বেসরকারি হাসপাতালের কর্মীদের চক্ষু চড়কগাছ। বাংলাদেশের রোগীর চিকিৎসার জন্য জমা দেওয়া টাকার একটি বড় অংশই জাল! বাইপাসের উপর বেসরকারি হাসপাতালের কাছ থেকে খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছে যান পূর্ব কলকাতার আনন্দপুর থানার আধিকারিকরা। হতবাক তাঁরাও। কারণ, যে ২৪ হাজার ১৩ টাকা জমা পড়েছে হাসপাতালে, তার মধ্যে একটি বা দু’টি নোট নয়। পুরো সাড়ে ন’হাজার টাকাই মেটানো হয়েছে জাল নোটে। ওই ১৯টি পাঁচশো টাকার জাল নোট পুলিশ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে। গ্রেপ্তার করা হয় বাংলাদেশের ঢাকা শহরের গুলশান এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ রফিকুল ইসলামকে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ৫ অক্টোবর ঢাকা থেকে এক অসুস্থ আত্মীয়কে নিয়ে কলকাতায় এসে পৌঁছন রফিকুল। পূর্ব কলকাতারই একটি হোটেলে ওঠেন। শুক্রবার আত্মীয়কে নিয়ে বাইপাসের কাছে ওই বেসরকারি হাসপাতালে যান তিনি। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা ও পরীক্ষার জন্য তাঁকে ২৪ হাজার ১৩ টাকা জমা দিতে বলা হয়। নোট পরীক্ষা করার সময়ই জানা যায় যে, ১৯টি নোটই জাল। রফিকুল পুলিশের কাছে দাবি করেন, তিনি ঢাকায় থাকাকালীনই পরিচিতদের কাছে শুনেছিলেন যে, নিউ মার্কেটের মার্কুইস স্ট্রিটে মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্র রয়েছে। আবার কয়েকজন দালালও ডলার অথবা বাংলাদেশি টাকার বদলে ভারতীয় টাকা কম কমিশনে বিনিময় করে। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর সঙ্গে এমনই এক দালালের যোগাযোগ হয়। তিনি তার কাছ থেকেই নগদ টাকা নেন। কিন্তু জানতেন না যে, পাঁচশো টাকার নোটের মধ্যে জাল নোট মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: গর্ভপাতে রাজি না হওয়ায় বধূকে মারধর করে ওষুধ খাওয়ানোর অভিযোগ, গায়ে ঢালা হল অ্যাসিড!]
পুলিশের মতে, ওই ব্যক্তির বক্তব্য সত্যি হলে জাল নোট পাচারকারীরা বিদেশিদের মাধ্যমে জাল নোট পাচার করার নতুন পদ্ধতি নিয়েছে। এই পাচারে তারা সাহায্য নিচ্ছে মুদ্রা বিনিময়কারীর। বিদেশি মুদ্রা বিনিময়ের সঙ্গে যুক্ত কিছু দালাল বিদেশি মুদ্রার বদলে বিদেশিদের দিচ্ছে জাল নোট। যদিও ধৃত বাংলাদেশি ইচ্ছাকৃতভাবে কম কমিশন দিয়ে জাল নোট নিয়েছিলেন কি না, সেই তথ্য জানতে তাঁকে টানা জেরা চলছে। আবার বাংলাদেশ অথবা সীমান্ত এলাকা থেকে তিনি জাল নোট সংগ্রহ করেন কি না, তা-ও তাঁকে জেরা করে জানার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।