আকাশনীল ভট্টাচার্য, বারাকপুর: শ্বশুরবাড়িতে পণের দাবিতে অত্যাচারের অভিযোগ। শহরে ফের এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু। উত্তর শহরতলির বরানগরের ফ্ল্যাট থেকে বছর চল্লিশের দীপা দাসের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির পাঁচজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতার বাপের বাড়ির লোকেরা। স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে বরানগর থানার পুলিশ।
[নগ্ন করে পড়ুয়াকে মার, সেন্ট পল’স কাণ্ডে বহিষ্কৃত দুই অভিযুক্ত ছাত্র]
বিয়ে হয়েছিল ২০০৩ সালে। বরানগরের রায়মোহন ব্যানার্জি রোডের একটি ফ্ল্যাটে স্বামী চন্দন রায়, ১২ বছরের ছেলের সঙ্গে থাকতেন দীপা। বাপের লোকেদের অভিযোগ, পণের জন্য তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। সোনার গয়না এনে দেওয়ার জন্য স্ত্রীর উপর চাপ দিত চন্দন। বাইক কেনার জন্য দীপার কাছে টাকাও চেয়েছিল সে। সোমবার রাতে বরানগরের ফ্ল্যাট থেকে বছর চল্লিশের ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। দীপা দাসের বাপের লোকেদের দাবি, রাতে দীপার ছেলে ফোন তাঁদের জানায়, মা আত্মহত্যা করেছে। মৃতার স্বামী চন্দন দাস ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বরানগর থানায়। স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। স্থানীয় একটি পানশালায় বাউন্সারের কাজ করে সে।
কয়েক মাস আগে বিয়ের মাত্র দেড় বছরের মাথায় এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল বাঁশদ্রোণীতে। শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন মৃতার বাপের বাড়ির লোকেরা। মৃতার স্বামীকে আটক করেছিল পুলিশ।
[ভেঙে পড়ছে বিপজ্জনক বাড়ি, প্রতিবাদ করলেই বন্দুক উঁচিয়ে হুমকি মালিকের]
The post বরানগরে ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার মহিলার ঝুলন্ত দেহ, গ্রেপ্তার স্বামী appeared first on Sangbad Pratidin.