অর্ণব দাস, বারাসত: ছেলেধরা সন্দেহে গণধোলাই। বুধবার সকালের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় বারাসতের শ্রীনগর এলাকায়। এক মহিলা-সহ দুজনকে আটক করে বেধড়ক মারধর শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ গেলে তাদের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। সবমিলিয়ে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা।
এদিন সকালে প্রথমে মধ্যমগ্রামের ঘোষপাড়া এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পরে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে বারাসতের শ্রীনগরে। এক মহিলা ও এক পুরুষকে ছেলেধরা সন্দেহে আটক করে এলাকার মানুষ। পরে তাদের বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে বারাসত থানার পুলিশ এলে তাদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখায় এলাকার মানুষ। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়িতেও।
[আরও পড়ুন: কলেজে ভর্তির কেন্দ্রীয় পোর্টাল চালু, কবে থেকে শুরু আবেদন?]
এ প্রসঙ্গে বারাসতের এসডিপিও বিদ্যাগার আজিঙ্কাকে সরাসরি আমজনতার সঙ্গে কথা বলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করে বলেন, "গুজবে কান দেবেন না। এটা পুরোপুরি গুজব। কাজিপাড়ায় যে ঘটনা ঘটেছিল, তা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এর সঙ্গে তার কোনও সম্পর্কই নেই। বাচ্চাচুরির যে গল্প ছড়াচ্ছে, তা সম্পূর্ণ গুজব। সেই গুজবকে বিশ্বাস করে গোলমাল চলছে। আমি আবারও বলছি, গুজবে বিশ্বাস করবেন না। এখানে প্রতিটি বাচ্চা নিরাপদে আছে।" উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে কাজিপাড়ায় ১১ বছরের বালককে গলা টিপে খুন করা হয়। তার পর থেকেই এই গুজব রটছে।