শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: নাবালিকার বিয়ে রুখতে গিয়ে এক অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী ফরাক্কার বিডিও-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। বস্তার ভিতরে মিলল নাবালিকা! আপাতত থানায় রয়েছে ওই কিশোরী ও তার মা।
জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফরাক্কার অর্জুনপুর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা ওই নাবালিকা। বয়স ১২ বছর ৬ মাস। সম্প্রতি ঝাড়খন্ড নিবাসী এক পাত্রের সঙ্গে ওই নাবালিকার বিয়ে ঠিক করে পরিবার। মঙ্গলবার বিয়ের দিন হিসেবে ধার্য হয়। গোটা বিষয়টি আইন বিরুদ্ধ তা ভালভাবেই জানা ছিল তাঁদের। সেই কারণে অত্যন্ত সন্তর্পণে গোটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল তাঁরা। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিষয়টি ফরাক্কার বিডিও ও চাইল্ড লাইনের আধিকারিকদের কানে যায়। তড়িঘড়ি তাঁরা পৌঁছে যায় অর্জুনপুরে নাবালিকার বাড়িতে। বিপদ বুঝে ফন্দি আঁটে কনের পরিবার। মেয়েকে ভরে ফেলেন বস্তায়। রেখে দেন খাটের নিচে।
[আরও পড়ুন: বিজেপি কর্মীদের উপর ব্যাপক বোমাবাজি-গুলির অভিযোগ, রণক্ষেত্র খেজুরি, কাঠগড়ায় শাসকদল]
বিডিও-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা কনের খোঁজ করতেই পরিবারের সদস্যরা জানান, মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। সে ইতিমধ্যে ঝাড়খন্ড চলে গিয়েছে। কিন্তু কথা বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয়নি আধিকারিকদের। সেই কারণে ঘরে তল্লাশি চালায় তাঁরা। তখনই তাঁরা দেখেন, খাটের নিচে রাখা একটি বস্তা। সেটি নড়তে দেখার পরই সন্দেহ দৃঢ় হয়। সেই সময়ই বিডিও বস্তাটি বের করার ব্যবস্থা করেন। সেটি খুলতেই চক্ষুচড়কগাছ! বস্তার ভিতরেই মেলে ছটফটে নাবালিকা। এই ঘটনার পরই নাবালিকা ও তাঁর মাকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। যোগাযোগ করা হচ্ছে পাত্রপক্ষের সঙ্গে। প্রসঙ্গত, নাবলিকা বিবাহ রুখতে প্রশাসনের তরফে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্প চালু করা হয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়েও বোঝানোও হচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আইন ফাঁকি দিয়ে নাবালিকার বিয়ের প্রবণতা পুরোপুরি রোখা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু কেন? সেটাই প্রশ্ন।