সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত কেরল। বন্যা কেড়ে নিয়েছে বহু মানুষের প্রাণ। বন্যা দুর্গতদের হাহাকারে ভারি বাতাস। এমনই পরিস্থিতিতেও ধর্মের নামে ঘৃণা ছড়াচ্ছেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু চক্রপাণি মহারাজ। টেলিভশনের পর্দায় তাঁর বক্তব্য, ‘গোমাংস ভক্ষণকারীদের কোনও সাহায্য করা উচিত নয়।’
[গাছের রসেই নিকেশ মশা, যুগান্তকারী আবিষ্কার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের]
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে ওই ধর্মগুরু বলেন, “শুধুমাত্র নিরামিষাশী বন্যা দুর্গতদের সাহায্য করা উচিত। যারা গোমাংস ভক্ষণ করে তাদের কোনও সাহায্য করা উচিত নয়।” তাঁর এই বয়ান ইতিমধ্যে উসকে দিয়েছে বিতর্ক। চক্রপাণির মন্তব্যে ক্ষুব্ধ অনেকেই। ধর্মের নাম এহেন কুৎসিত বয়ান কখনওই সমর্থনযোগ্য নয় বলেই মত বিদ্বজনের। তবে এটাই প্রথম নয়। ইতিমধ্যেই, কুকুর হত্যা, শবরীমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশ ও গোমাংস খাওয়া। কেরলের বন্যা কেন হল তা নিয়ে এই ‘তিন অপব্যাখ্যা’ ও ‘কুৎসিত সমালোচনায়’ ছেয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষ্যেই এই বদমায়েশি চলছে বলে মতপ্রকাশ করেছে কেরলের পুলিশ ও প্রশাসনের একাংশ। আসলে ধর্মীয় স্বার্থসিদ্ধি ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এগুলি করা হচ্ছে বলে মনে করছেন শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ। প্রকাশ্যে এহেন বয়ানবাজি বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
ভয়ংকর প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত কেরল। গত একশো বছরে এরকম বিপর্যয় কেরলে হয়নি। সরকারি হিসেবে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৪৩০। বেসরকারি মতে তা আরও অনেক বেশি। লক্ষাধিক গৃহহীন। দক্ষিণের রাজ্যের চরম বিপদের মুহূর্তে এগিয়ে এসেছে গোটা দেশ। পাশে দাঁড়িয়েছে দল, মত নির্বিশেষে কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্যের সরকার। সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে রাশিয়া, ফ্রান্স, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, ওমানের মতো দেশও। বলিউডি তারকারা বিপুল টাকার থলি নিয়ে বন্যাত্রাণে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। কেরলকে বাঁচাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চলছে নিয়মিত। এরইমধ্যে বেসুরো গাইছেন একদল অশিক্ষিত মানুষ। ঘৃণ্য রাজনীতির আশ্রয় নিয়ে অপপ্রচার ছড়াতে পিছপা হচ্ছে না তারা।
[বাংলাতেও ‘মোমো’ চ্যালেঞ্জের থাবা, মারণখেলার খপ্পরে জলপাইগুড়ির ছাত্রী]
The post ‘গোমাংস ভক্ষণকারীদের সাহায্য নয়’, কেরল বিপর্যয়ে বিতর্কিত মন্তব্য ধর্মগুরুর appeared first on Sangbad Pratidin.