নব্যেন্দু হাজরা: শীতপ্রেমীরা উপভোগ করলেও বছরের শেষপ্রান্তে পৌঁছে অবশেষে শীতের দাপটে জবুথবু অধিকাংশ বঙ্গবাসী। আপাতত এই আমেজ জারি থাকবে বলেই জানাল হাওয়া অফিস (Regional Meteorological Centre)। যদিও গত কয়েকদিনের তুলনায় সামান্য হলেও বেশি বৃহস্পতিবারের তাপমাত্রা।
দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছে গত সপ্তাহে জাঁকিয়ে শীত পড়েছে বঙ্গে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে তিলোত্তমার তাপমাত্রা নামে ১১ ডিগ্রিতে। স্বাভাবিকভাবেই জবুথবু দশা হয় জেলাবাসীরও। শৈতপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয় দক্ষিণবঙ্গের ৬টি জেলায়। সকলেরই চিন্তা ছিল শীতের দাপট নষ্ট করতে পারে বড়দিনের আনন্দ। সেই দুশ্চিন্তার অবসান। বৃহস্পতিবারই তাপমাত্রার পারদ পৌঁছেছে প্রায় ১৫ ডিগ্রিতে। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রা। জেলাগুলির তাপমাত্রাও সামান্য বেড়েছে। জানা গিয়েছে, বছর শেষে তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করতে ১৪-১৫ ডিগ্রির আশেপাশেই। সকালের দিকে কুয়াশার দাপট জারি থাকলেও বেলাবাড়তেই পরিস্কার হবে আকাশ। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.৬ ডিগ্রি। এদিন বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ ৯৮ শতাংশ। বুধবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫. ২ডিগ্রি।
[আরও পড়ুন: নমুনা পরীক্ষা বাড়লেও বাংলায় সামান্য কমল দৈনিক সংক্রমণ, ঊর্ধ্বমুখী সুস্থতার হার]
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগর সংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপের সম্ভাবনা রয়েছে। আন্দামান ও নিকোবরে সপ্তাহান্তে হতে পারে বৃষ্টি। শনিবার নতুন করে সক্রিয় পশ্চিমী ঝঞ্জা আসবে জম্মু-কাশ্মীরে। যার প্রভাবে জম্মু-কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ড, হিমাচলপ্রদেশ তুষারপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আগামী দু’দিন সকালে কুয়াশায় মুড়ে থাকবে পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, বিহার, ঝাড়খণ্ড। আগামিকাল ঘন কুয়াশার সর্তকতা পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডিগড় ও দিল্লিতে।