অভিরূপ দাস: সারা দেশের সঙ্গে মেধার টক্করে বাঙালিদের অবস্থান নিয়ে যখন জোর বিতর্ক তখনই এক বঙ্গসন্তান গর্বের হাসি ফুটিয়েছে সকলের ঠোঁটে। মানসিক রোগের চিকিৎসায় দেশের অন্যতম প্রতিষ্ঠানের শীর্ষে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের (RG Kar Hospital) প্রাক্তনী অধ্যাপক বাসুদেব দাস। ১০৩ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার রাঁচির সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ সাইকিয়াট্রির (Central institute of psychiatry) ডিরেক্টর পদে জায়গা পেয়েছেন কোনও বঙ্গসন্তান।
এ দেশেরতো বটেই, সারা পৃথিবীর মানসিক রোগীরা চিকিৎসা করাতে আসেন জনশ্রুতিতে প্রচারিত রাঁচির ‘পাগলাগারদ’ তথা সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ সাইকিয়াট্রিতে। মূলত, কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রতিষ্ঠানের পথ চলা শুরু ১৯১৮ সালে। ব্রিটিশ শাসিত ভারতে যার নাম ছিল রাঁচি ইউরোপিয়ান লুনাটিক অ্যাসাইলাম। সে সময় শুধুমাত্র ইউরোপের শ্বেতাঙ্গ মানসিক রোগীদেরই চিকিৎসা চলত এখানে। যে মানসিক রোগের চিকিৎসা কোথাও হয় না তারও চিকিৎসা চলতে থাকে এখানে। ফলে দ্রুত এই প্রতিষ্ঠানের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। ১৯২২ সালে ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের শংসাপত্র পায় এই প্রতিষ্ঠান। ১৯৫৩ সালে এখানেই প্রথম স্কিৎজোফ্রেনিয়ার ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছিল। এমনকী, মেন্টাল হেলথ অ্যাক্ট অফ ইন্ডিয়া বিলের প্রথম ড্রাফ্ট লেখা হয়েছিল এই প্রতিষ্ঠানের ভিতরেই।
[আরও পড়ুন: কাটছে জোটের জটিলতা! কংগ্রেসও আব্বাসকে নিজেদের আসন ছাড়তে রাজি]
১৫ ফেব্রুয়ারি নিজের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন অধ্যাপক বাসুদেব দাস। প্রথম বাঙালি হিসাবে এই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নিতে পেরে গর্বিত বলে জানিয়েছেন তিনি। আরও জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে রাঁচির মানসিক হাসপাতালের বেড সংখ্যা ছ’শো ছুঁইছুঁই। তবে করোনার কারণে ৪৫০জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস(MBBS) পাস করেছেন বাসুদেব দাস। সেখানেই প্রথম সাইকিয়াট্রিক ইউনিট খোলার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। আজ সেই হাসপাতালের প্রাক্তনী এবার মানসিক রোগের চিকিৎসার সেরা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষে।
[আরও পড়ুন: এলোপাথাড়ি গুলির মোকাবিলা, পাক জঙ্গি নিকেষ করে সাহসিকতার মেডেল পেলেন বঙ্গতনয়]