স্টাফ রিপোর্টার: প্রতি পদে অনিশ্চয়তা। তার মধ্যেই এল এশিয়াডের সোনা। এই সোনাও যে কপাল ফেরাতে পারল, তা নয়। এশিয়াডে ভারতীয় ব্রিজ দলের সদস্যরা এখনও টিম ব্লেজার হাতে পাননি। সোনাজয়ী শিবনাথ দে সরকার ও প্রণব বর্ধন এতবড় সাফল্যের পরও বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁদের এই কীর্তি রাজ্যের ক্রীড়ামহলে কতটা ছাপ ফেলতে পেরেছে। সোমবার কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক তাঁবুতে মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে শিবনাথ যেমন বলছিলেন, “আমাদের টাকা পয়সার দরকার নেই। কিন্তু একটা স্থায়ী জায়গা হলে ভাল হয়। যেখানে আমরা খেলতে পারব। ব্রিজ নিয়ে আলোচনা করতে পারব। আর সেটা যেন এমন জায়গায় হয়, যেখানে সব জায়গা থেকে মানুষ সহজেই পৌঁছাতে পারেন।”
[এশিয়াডের পর অলিম্পিকেও সোনা আনার শপথ প্রণব-শিবনাথ জুটির]
জাকার্তায় শিবনাথ ও প্রণবের জুটি সোনা জেতার পাশাপাশি টিম ইভেন্টে সুমিত মুখোপাধ্যায় ও দেবব্রত মজুমদার ব্রোঞ্জ জিতেছেন। এশিয়াডে তাসের ইভেন্টে ভারতের সাফল্য এখানেই শেষ হয়নি। দ্বিতীয় ব্রোঞ্জটি এসেছে মিক্সড পেয়ার্স ইভেন্টে। কিন্তু যে খেলা থেকে একটি সোনা ও দুটি ব্রোঞ্জ এল, সেই ইভেন্টেরই খেলোয়াড়দের জন্য পরতে পরতে ছিল চরম অনিশ্চয়তা।
[এশিয়াডে একাই এতগুলি দেশকে হারিয়ে দিলেন হিমা দাস!]
সেটা কীভাবে? এশিয়াডে এই প্রথম তাসের ইভেন্ট অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কিন্তু ভারতীয় ওলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন শুরুতে এই ইভেন্টে দল পাঠাতে অস্বীকার করেছিল। এদিন ভারতীয় দলের নন প্লেয়িং ক্যাপ্টেন ও ছেলেদের ব্রিজ দলের কোচ দেবাশিস রায় বলছিলেন, তাঁদের যাওয়ার তিন দিন আগেও পরিষ্কার হয়নি যে দল সত্যিই জাকার্তা যাচ্ছে। শেষপর্যন্ত তাঁরা এইচসিএলের কর্তার হস্তক্ষেপে ক্লিয়ারেন্স পান। কিন্তু এত কিছু পরও টিম ব্লেজার জোটেনি ব্রিজ খেলোয়াড়দের। সদস্যরা তাই ঠিক করেছেন তাঁদের পুরনো ব্লেজারের উপরেই আইওএ-র ছবি লাগিয়ে অফিসিয়াল ফটোশুট করবেন। দেবাশিস বলছিলেন, “প্রথমে শুনেছিলাম যে কোনও কিটই পাব না। পরে ক্রীড়ামন্ত্রকের হস্তক্ষেপে আমরা জার্সি হাতে পাই। কিন্তু টিম ব্লেজার এখনও পাইনি। অফিসিয়াল রিসেপশন যেহেতু সামনেই, আমরা তাই নিজেরাই লোগো সেলাই করে নেব ঠিক করেছি।”
The post এশিয়াডে সোনা জিতেও অবহেলিত শিবনাথ-প্রণবরা, প্রশ্নে অলিম্পিক সংস্থার ভূমিকা appeared first on Sangbad Pratidin.