সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে তুঙ্গে রাজ্য-রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব। এবার নাম না করে সিভি আনন্দ বোসকে গোপাল ভাঁড় বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। ব্রাত্য বসুর কথায়, “কৃষ্ণচন্দ্রের রাজসভার শ্রেষ্ঠ বিদূষককে রাজ্যপাল করে পাঠানো হয়েছে। তাঁর আত্মা আবার জাগ্রত করা হয়েছে।” উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে কোনও আলোচনায় যাচ্ছে না রাজভবন। যা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, প্রাক্তন রাজ্যপাল অন্তত আলোচনা করতেন। বর্তমান রাজ্য়পালের সঙ্গে তো শেষবার ফেব্রুয়ারি মাস কথা হয়েছে।
উপাচার্য নিয়ে নিয়োগ জটের মাঝেই রাজ্যের ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose)। যা নিয়ে রাজ্যপাল কথা আচার্য রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা করেননি বলেই দাবি। আর এ নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়ে সোমবার দুপুরে বিধানসভায় সাংবাদিক সম্মেলন করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর কথায়, “কোনও নিয়ম মানছেন না সিভি আনন্দ বোস। উচ্চশিক্ষা দপ্তরকে ফাইল পাঠাচ্ছেন না। নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকেও মানছেন না।” এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে জেমস বন্ডেরও তুলনা টানেন ব্রাত্য। অভিযোগ, রাজ্যের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করছেন রাজ্যপাল।
[আরও পড়ুন: ‘কিতনে আদমি থে? ১০ সর্দার’, ‘শোলে’র সংলাপেই ডুরান্ড জয়ের উল্লাস ‘মোহনবাগানি’ সৃজিতের]
এদিন সিভি আনন্দ বোসকে আক্রমণ করতে গিয়ে বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি তথা প্রাক্তন রাজ্য়পাল জগদীপ ধনকড়ের কথাও তুলে আনেন। তুলনা টানেন সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গেও। ব্রাত্য়র কথায়, “আগের রাজ্য়পাল ফাইল পাঠাতেন। আমরা পালটা নোট দিতাম। আইন নিয়ে তর্ক হত।” তবে কি আনন্দ বোসের তুলনায় ধনকড় ভাল ছিলেন? সে প্রশ্নের সরাসরি জবাব অবশ্য দেননি ব্রাত্য। বলেন, “ভাল কি খারাপ তা নিয়ে কিছু বলতে চাই না।”