ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: করোনা সংক্রমণ রুখতে গোটা দেশজুড়ে লকডাউনের (Lockdown) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারপর আনলক পর্যায়ের মাধ্যমে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে গোটা দেশ তথা বাংলা। শুরু হয়ে গিয়েছে ট্রেন পরিষেবাও। কিন্তু উপার্জন এখনও বন্ধ থাকায় সমস্যায় লোকশিল্পীরা। অবশ্য এই পরিস্থিতিতে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। কীভাবে আবারও মেলা এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু করা যায় তা নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার তিনি জানান, নির্দিষ্ট কোভিড (Covid-19) গাইডলাইন অনুযায়ী বদ্ধ জায়গায় অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে অর্ধেক মানুষকে দর্শকাসনে বসতে দেওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০০ জনের জমায়েত সম্ভব। তবে খোলা ময়দানে কোনও অনুষ্ঠান হলে দর্শক সংখ্যার ক্ষেত্রে কোনও বাধা হিসেব নেই। সেক্ষেত্রে দর্শক এবং উদ্যোক্তা সকলকেই উপযুক্ত কোভিডবিধি মানতে হবে। ব্যবহার করতে হবে মাস্ক, স্যানিটাইজার। মানতে হবে শারীরিক দূরত্ববিধিও। যেকোনও মেলা, প্রদর্শনী, এক্সপো, আবৃত্তি কিংবা গানের আসরের ক্ষেত্রে এই সমস্ত বিধিনিষেধের কথা ইতিমধ্যেই জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার এবং পুলিশ কমিশনারকে জানানো হয়েছে। এছাড়াও প্রত্যেককে লোকশিল্পীদের পাশে থাকার কথাও বলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: খাবার দেওয়ার বিনিময়ে টাকা দাবি নার্সদের! রোগীর পরিবারের বিক্ষোভ-লাঠিচার্জে উত্তপ্ত আরজি কর]
সাধারণত শীতের মরশুমে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নানা ধরনের মেলার আয়োজন করা হয়। সেই সমস্ত মেলাতেই মূলত আসর জমান লোকশিল্পীরা। তবে করোনা কালে বন্ধ সমস্ত মেলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তার ফলে সমস্যায় রয়েছেন লোকশিল্পীরা। দিন গুজরানেও সমস্যা হচ্ছে তাঁদের। তাই জেলা প্রশাসনিক আধিকারিকদের লোকশিল্পীদের উৎসাহিত করারও কথা বলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় (Alapan Banerjee)।