অর্ণব আইচ: বাম ও কংগ্রেসের ডাকা গত বনধে হওয়া গোলমালের কথা মাথায় রেখেই মঙ্গলবার কৃষক ইস্যুতে ডাকা ভারত বনধে কড়া হচ্ছে কলকাতা পুলিশ। কলকাতার যে কোনও গোলমাল রুখতে রাস্তায় নামছে চার হাজারেরও বেশি অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী।
লালবাজারের এক আধিকারিক জানান, বনধ সমর্থকরা যাতে বাড়াবাড়ি না করে ও বনধে কোথাও যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গত বনধে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় গোলমাল হয়। বনধ সর্মথকরা বেশ কিছু জায়গায় পথ অবরোধ করে। আটকানো হয় বাস ও যানবাহন। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই এই বনধে পুলিশ আরও কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে। গতবার যে জায়গাগুলিতে গন্ডগোল হয়েছিল, সেই জায়গাগুলির উপর অতিরিক্ত নজর থাকছে পুলিশের।
[আরও পড়ুন: প্রতিশ্রুতি মিললেও হয়নি দাবিপূরণ, মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগেই ভোট বয়কট মতুয়াদের]
জানা গিয়েছে, ধর্মতলা, লেনিন সরণি, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, যাদবপুর, মানিকতলা, এন্টালি-সহ বেশ কিছু জায়গায় অতিরিক্ত সংখ্যক পুলিশ বাহিনী ও পুলিশ কর্তারা থাকছেন। মঙ্গলবার সকাল থেকেই কলকাতার প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে থাকছে অতিরিক্ত সংখ্যক পুলিশ বাহিনী। প্রত্যেক ডিভিশনে সংশ্লিষ্ট ডিসি ছাড়াও থাকছেন ডিসি পদমর্যাদার অন্য আধিকারিকরা। এছাড়াও অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার ও ইন্সপেক্টররা থাকছেন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে। তৈরি রাখা হচ্ছে বিশেষ বাহিনী ও কমব্যাট ফোর্স। রাস্তায় যাতে অবরোধ না হয় সেদিকে নজর থাকছে পুলিশের। সরকারি, বেসরকারি বাস এবং অন্যান্য যানবাহন থেকে যাতে যাত্রীদের নামানো না হয়, সেদিকে থাকছে পুলিশের অতিরিক্ত নজর। বাস ভাঙচুর রুখতেও বিশেষ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চারটি সরকারি গ্যারাজ, ৪৫টি পুরসভার বাজার, প্রত্যেক মেট্রোরেলের গেটের সামনে অতিরিক্ত সংখ্যক পুলিশ থাকছে। গতবারের মতো দোকান ভাঙচুর যাতে না হয়, তার জন্যও থাকছে পুলিশি নজারদারি। কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার সংযোগস্থলগুলিতে থাকছে শতাধিক পুলিশ পিকেট। এছাড়াও জোর করে বাজার বা দোকান কেউ বন্ধ করতে গেলে পুলিশ তার ব্যবস্থা নেবে। লালবাজারের নতুন কন্ট্রোলরুম থেকে সিসিটিভির মাধ্যমেও নজর রাখবেন পদস্থ পুলিশকর্তারা। সকাল থেকেই কলকাতার রাস্তায় টহল দেবে পুলিশ কন্ট্রোল রুম ভ্যান, হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড, কুইক রেসপন্স টিম, সংশ্লিষ্ট থানার অতিরিক্ত গাড়ি। প্রত্যেকটি রাস্তায় থাকছে পুলিশের টহল। গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ড্রোন ওড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আপদকালীন পরিষেবা পেতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেদিকেও নজর থাকছে পুলিশের। কোথাও কোনও গোলমালের খবর পেলে যাতে কয়েক মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাওয়া যায়, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।