শেখর চন্দ্র, আসানসোল: কয়লা পাচার মামলায় কলকাতা ও আসানসোল মিলিয়ে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের মোট ছ’টি বাড়িতে তল্লাশি সিবিআইয়ের (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের আচরণে আপ্লুত মন্ত্রী ঘরনি সুদেষ্ণা। স্বামীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
মলয় ঘটকের (Moloy Ghatak) স্ত্রী সুদেষ্ণা বলেন, “ওনারা বললেন এটা মন্ত্রীর বাড়ি বোঝাই যাচ্ছে না। আমাদের সঙ্গে ভীষণ ভাল ব্যবহার করেন সিবিআই আধিকারিকরা। আমি চাবিওয়ালা ডেকেছিলাম। ওনারা আলমারি খুলে দেখলেন। অফিশিয়াল কাজকর্ম করেছিলেন। আমাদের কাগজপত্রে সই করালেন। কিছুই জানতে চাননি। খুবই ভদ্র। জামাকাপড় ওঠাতে বললেন। জামাকাপড় গুছিয়ে রাখতেও বলবেন। চিলেকোঠার ঘরে ভাঙা জিনিসপত্র রাখা ছিল। ওনারা বললেন সরিয়ে দিতে। আমার এক বোন এসেছিলেন। ওঁরা বলেছিলেন আপনার বাড়ি লোককে ঢুকতে দেব? আমি বললাম, যেটা নিয়ম সেটা নিয়ম। কাউকে ঢুকতে দেবেন না।”
[আরও পড়ুন: এবার ১১২ জন টেট উত্তীর্ণকে নিয়োগের নির্দেশ হাই কোর্টের, পুজোর আগেই দিতে হবে চাকরি]
কয়লা পাচার কাণ্ডে সত্যিই কী জড়িত মলয় ঘটক, সে প্রশ্নে যদিও রীতিমতো বিরক্ত মন্ত্রী ঘরনি। “আমার শ্বশুর বা শ্বশুরমশাইয়ের বাবার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। অন্ডাল বিমানবন্দর আমাদের জায়গায়। ওই সম্পত্তি তিনি (মলয় ঘটক) নেননি। নিজের এবং খুড়তুতো ভাইদের সব সম্পত্তি লিখে দিয়েছেন। যে বাবার সম্পত্তি নেননি। আপনাদের মনে হয় উনি কয়লা মাফিয়াদের থেকে টাকা নেবেন। সিবিআই কারও চাপে পড়ে এসব করছে। আমার তো এখন মনে হচ্ছে সততার সঙ্গে রাজনীতি করে যদি এই অবস্থা হয় তবে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়াই উচিত।”
বুধবার সিবিআই আধিকারিকরা প্রথমে আসানসোলের ভগৎ সিং মোড়ে মলয় ঘটকের বাড়িতে হানা দেন। এরপর চেলিডাঙায় তাঁর পৈতৃক বাড়িতে যায় সিবিআই। সেখান থেকে আখতার গার্ডেনে মলয় ঘটকের অন্য বাড়িতে যান তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। জিটি রোডের বাড়িতেও যান তাঁরা। আসানসোলের পাশাপাশি কলকাতার লেক গার্ডেন্সের বাড়িতেও যায় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়ে পরিবারের অন্দরেই রয়েছে ভিন্নমত। মলয় ঘটকের ভাই অভিজিৎ ঘটক সিবিআইয়ের ভূমিকায় অখুশি। তাঁর দাবি, সকাল থেকে তল্লাশি চললেও সার্চ ওয়ারেন্ট দেখাতে চাননি আধিকারিকরা।
দেখুন ভিডিও: