অর্ণব আইচ: ‘অ্যান্টি মানি লন্ডারিং সেল’খোলার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিল আন্তর্জাতিক সংস্থা। কিন্তু বহুবার অনুরোধ সত্ত্বেও রাজ্যে সেই সেল খোলেনি পুলিশ। উচ্চ আদালতের কাছে এনিয়ে নালিশ জানাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। রেশন বন্টন দুর্নীতির মামলার প্রসঙ্গেই রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে এই অভিযোগ তুলেছে ইডি।
ইডির দাবি, সাধারণের তহবিল লুঠ করা হলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ১০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির তথ্য পুলিশকে জানানো হয়েছে। কিন্তু এই দুর্নীতির পিছনে প্রভাবশালীরা রয়েছেন বলে পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করেনি। আদালতে ইডি অভিযোগ, আন্তর্জাতিক তছরূপ সংক্রান্ত নজরদারি সংস্থা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএফ-এর পক্ষ থেকে পুলিশের ডিজি পদমর্যাদার কর্তাকে রাজ্য পুলিশের সদরে ‘অ্যান্টি মানি লন্ডারিং সেল’বা এএমএল সেল তৈরির জন্য একাধিকবার অনুরোধ জানানো হয়। টাকা তছরূপ তথা পিএমএলএ আইনের মামলায় অভিযোগ ও এফআইআরের তথ্য আদানপ্রদানের জন্য এই সেলটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই ধার্য করা হয়। অথচ বার বার অনুরোধ সত্ত্বেও এএমএল সেল রাজ্য পুলিশ তা তৈরি করেনি।
[আরও পড়ুন: ‘বিহারীবাবু’তেই আস্থা, আসানসোলে ফের লড়াইয়ে শত্রুঘ্ন! ইঙ্গিত মমতার]
এছাড়াও আদালতে ইডির দাবি, ডিজিকে চিঠি লিখে রেশন বন্টন দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা, নদিয়া-সহ বিভিন্ন জেলায় অন্তত ৬টি দায়ের হওয়ার অভিযোগের তদন্ত ও এফআইআর এবং চার্জশিটের তথ্য আদানপ্রদান ও যে ব্যক্তিরা জড়িত, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু তখন সত্যপ্রকাশ হয়নি। উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় ইডি আধিকারিক ও সিআরপিএফের উপর হামলার ঘটনার তদন্তও হয়নি। ইডির মামলায় পুলিশ নাক গলাচ্ছে বলেও অভিযোগ জানানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’ও দায়ের করা হয় বলে দাবি ইডির।