দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: মঙ্গলবার হুগলির শ্রীরামপুর ও চুঁচুড়ায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) দু’টি নির্বাচনী জনসভা বাতিল হওয়ায় হতাশ বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় শ্রীরামপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কবীরশংকর বসুর সমর্থনে প্রথম সভাটি হওয়ার কথা ছিল। প্রচন্ড দাবদাহের মধ্যে প্রায় দেড় ঘন্টা অপেক্ষা করার পর কর্মী সমর্থকদের ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটে। এক সময় কর্মীরাই বিরক্ত হয়ে নেতাদের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, আর কতক্ষণ এভাবে গরমের মধ্যে অপেক্ষা করতে হবে?
পরিস্থিতি সামাল দিতে মাইকে ঘোষণা করা হয়, জেপি নাড্ডা কর্মী সমর্থকদের ভিডিও বার্তা দেবেন। এরপরই সভাস্থল খালি হতে শুরু করলে বিপাকে পড়ে যান বিজেপি (BJP) নেতা-নেত্রীরা। সেই সময় আবারও ঘোষণা করা হয় জেপি নাড্ডা কিছুক্ষণের মধ্যে আসছেন বক্তব্য রাখার জন্য। কিন্তু কর্মীরা সেই ঘোষণায় আর ভরসা রাখতে না পেরে সভাস্থল ছেড়ে চলে যান। এই বিষয়ে বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শ্যামল বসু জানান হেলিকপ্টারে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে জেপি নাড্ডা আসতে পারেননি। এরপরই সকলে হতাশ হয়ে মাঠে ছেড়ে চলে যায়। তবে ভিডিও বার্তা কেন দেওয়া হল না? এই প্রশ্নের জবাবে শ্যামলবাবু বলেন, খালি মাঠে তো আর ভিডিও বার্তা দেওয়া যায় না।
[আরও পড়ুন: ‘২ মে পদ্মফুলকে চোখে সরষে ফুল দেখাতেই হবে’, কর্মীদের চাঙা করতে ভোকাল টনিক অভিষেকের]
তবে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu) অবশ্য এই প্রসঙ্গে সম্পূর্ণ অন্য কথা বলেন। তিনি বলেন তাঁকে জানানো হয়েছে, নাড্ডাজি একটি জনসভায় আছেন। সেখানেই দেরি হয়েছে। তবে এটা পুরোটাই তিনি শুনেছেন। নাড্ডাজির সঙ্গে তাঁর কোনেও কথা হয়নি। একইভাবে এদিন চুঁচুড়ায় নাড্ডার দ্বিতীয় জনসভাও বাতিল হয়। এবারে জানানো হয় নয়াদিল্লিতে একটি জরুরি কর্মসূচি এসে পড়ায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে ফিরে যেতে হয়েছে। যদিও, তৃণমূলের (TMC) দাবি, সভাস্থলে লোক মা হওয়ার জেরেই সভা বাতিল করেছে বিজেপি। একই দিনে জেলায় বিজেপি সভাপতির জোড়া সভা বাতিল হয়ে যাওয়ায় স্বভাবতই, ভোটের আগে কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন কর্মীরা।