সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: তীব্র দাবদাহের মধ্যেই ঝড়ের তাণ্ডব জেলায়-জেলায়। উপড়ে গেল বহু গাছ। ভাঙল তোরণ। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন একাধিক জেলার বিভিন্ন এলাকা। আর এই ঝড়ের তাণ্ডবে প্রাণ গেল তিনজনের। বর্ধমানে জখম হয়েছেন অন্তত ২৩ জন। তাঁদের মধ্যে তিনজন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস ছিলই। কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলায় সন্ধে থেকে ঝড়,বৃষ্টি হতে পারে। সেই পূর্বাভাস সত্যি করে দিনে-দুপুরে আধার নামে বালুরঘাটে। কালো মেঘে ঢেকে যায় এলাকা। সঙ্গে শুরু হয় ঝড়। সময় যত গড়িয়েছে জেলায়-জেলায় ঝড়-বৃষ্টির দাপট বেড়েছে। সন্ধেয় কিছুটা বৃষ্টি হয়েছে কলকাতা ও তৎসংলগ্ন এলাকায়ও। আর ঝড়ের দাপটে শহরের বিভিন্ন এলাকায় উপড়েছে বড়-বড় গাছ।
ঝড়ের মাঝেই বাজ পড়ে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার আধুয়া গ্রামে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধের। ঝড়ের মাঝে বাড়ির পাশে আমবাগানে আম কুড়োচ্ছিলেন আজাদ শেখ (৬৭)। তখনই বজ্রাপাতে তিনি ঝলসে যান। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার সময় মাঝপথে তাঁর মৃত্যু হয়। অপর ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের রায়নায়। নাড়ুগ্রামে দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্য়ু হয়েছে সাবিত্রী কুন্ডুর (৭৮)। আবার বাঁকুড়ায় বিকনা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কুঞ্জবন এলাকায় আমড়া গাছ পড়ে মৃত্যু হল একজনের। মৃত ব্যক্তির নাম কার্তিক পাল (৭৩)। আম কুড়াতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘কাল দেখবেন কী করি’, নোটিস দিতে এসে অভিষেকের বাড়িতে হুমকি CBI-এর! বিস্ফোরক মমতা]
ঝড়জলে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি বর্ধমানের। বর্ধমান স্টেশল লাগোয়া জাতীয় পতাকার স্তম্ভ ভেঙে পড়েছে। বর্ধমান শহর, রসুলপুর, গলসির চন্দনপুরের অর্ধেক রাস্তা অবরুদ্ধ। জিটি রোডের উপর গাছ ভেঙে পড়েছে। বহুতল থেকে উড়ে এসে রাস্তায় পড়েছে জলের ট্যাঙ্ক। ভেঙেছে বহু বিজ্ঞাপনের তোরণ। প্রচুর কাঁচামাটির বাড়ি ভেঙেছে। প্রাণ গিয়েছে গবাদি পশুরও।
এদিকে তীব্র দাবদাহের মাঝেই বৃষ্টিতে ভিজেছে পশ্চিমের জেলা পুরুলিয়া। বান্দোয়ানে নবজোয়ার কর্মসূচির তোরণ ভেঙে পড়েছে একাধিক জায়গায়। তবে তীব্র দাবদাহের মধ্যে এক পশলা বৃষ্টি শান্তি দিয়েছে জেলার মানুষকে। বৃষ্টিতে ভিজেছে দক্ষিণ দিনাজপুর, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ-সহ একাধিক জেলা।