সুমন করাতি, হুগলি: একই পরিবারের ৩ সদস্যের রহস্যমৃত্যু। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল হুগলির (Hooghly) তারকেশ্বরে। ঘর থেকে উদ্ধার মা, মেয়ে ও ছেলের দেহ। প্রাথমিকভাবে অনুমান, মা ও দিদিকে খুনের পর আত্মহত্যা করেছেন যুবক। কিন্তু কেন? তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
জানা গিয়েছে, হুগলির তারকেশ্বরের চাঁপাডাঙ্গার বাসিন্দা মাইতি পরিবার। মা বিজলী মাইতি থাকতেন মেয়ে সুজাতা ও ছেলে শুভমকে নিয়ে। সোমবার বেলা গড়িয়ে গেলেও মাইতি পরিবারের কাউকে দেখতে না পেয়ে প্রতিবেশীরা দরজা ধাক্কা দেয়। ডাকাডাকি করে। তাতেও সাড়া মেলেনি। এদিকে বাড়ি থেকে পোড়া গন্ধ পাওয়া যায়। এর পরই ভয়ংকর দৃশ্যের সম্মুখীন হন তাঁরা। দরজা ভাঙতেই দেখা যায়, সিলিংয়ে ঝুলছেন শুভম। নিচে মেঝেয় পড়ে রয়েছে সুজাতা ও বিজলীর পোড়া দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে।
[আরও পড়ুন: প্রবল ঠান্ডা, রামমন্দির উদ্বোধনে থাকছেন না ‘বৃদ্ধ’ আডবানী]
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পরিবারের সকলেই পাড়ার লোকেদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতেন। শুভম ও সুজাতা নাকি পড়াশোনায় ভালো ছিলেন। আর্থিক সমস্যাও ছিল না। ফলে কী কারণে এই ভয়ংকর সিদ্ধান্ত, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। মৃতের আত্মীয়দের জেরা করে রহস্যভেদের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, মা ও দিদিকে পুড়িয়ে খুনের পর আত্মহত্যা করেছেন শুভম। এই ঘটনা প্রসঙ্গে মৃতদের এক প্রতিবেশী বলেন, “কোনওদিনও মনে হয়নি কোনও সমস্যা রয়েছে বলে। তা সত্ত্বেও কেন এমনটা হল, জানি না।”