স্টাফ রিপোর্টার: অমরনাথ (Amarnath cloudburst) নিয়ে দুশ্চিন্তা কাটছে না। দফায় দফায় জেলাগুলি থেকে আটকে পড়ার খবর আসছে নবান্নের কন্ট্রোলরুমে। কোথাও ফোনে উদ্ধারের অনুরোধ আসছে। কোথাও আবার পুণ্যার্থীরা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে ভিডিও বার্তা দিচ্ছেন। নবান্ন সূত্রে খবর, এ রাজ্যের ৭২ জন বাসিন্দা এখনও আটকে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে শুধু জলপাইগুড়িরই ২২ জন। এছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৫ জন, উত্তর ২৪ পরগনার ১৪ জন, হাওড়ার ১২ জন, পশ্চিম মেদিনীপুরের ১০ জন, দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের ৭ জন, কলকাতার ৫ জন, বাঁকুড়া ও বীরভূমের একজন করে বাসিন্দা রয়েছেন।
শুক্রবার সন্ধেয় জম্মু ও কাশ্মীরের অমরনাথ গুহার কাছে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বেশ কয়েকটি তাঁবু ভেসে যায়। মৃত্যু হয় ১৫ জনের। তথ্য অনুসারে, বালতাল বলে একটি এলাকায় যাওয়ার পথে বিপর্যয় ঘটে। আটকে পড়েন বহু মানুষ। তাঁদের মধ্যে বালির একটি পুণ্যার্থীর দল রয়েছে। সেই দলের সদস্য শ্রাবন্তী রায় মুখ্যমন্ত্রীকে রবিবার ভিডিও বার্তায় উদ্ধারের কাতর অনুরোধ জানান। পুলওয়ামার রাস্তা থেকে মোবাইলে তিনি ওই ভিডিও বার্তা দেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাস্তায় সার দিয়ে দাঁড়িয়ে গাড়ি। তাঁর মতো রাজ্যের আরও অনেকেই গাড়ি নিয়ে পুলওয়ামার ওই রাস্তায় আটকে। মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে অমরনাথের দিকেও যেতে পারছেন না আবার ফিরেও আসতে পারছেন না।
[আরও পড়ুন:উদ্দেশ্য মুখ্যমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানানো, ৭০০ কিমি পায়ে হেঁটে ডুয়ার্স থেকে কালীঘাটে আসছেন যুবক ]
দীর্ঘক্ষণ আটকে অবশেষে বেস ক্যাম্পে গিয়ে আশ্রয় নেন। মহিলা-পুরুষ মিলিয়ে শ্রাবন্তীদের দলে রয়েছেন দশ জন। গত ৬ জুলাই জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেসে চেপে দলটি ৮ জুলাই জম্মু পৌঁছয়। ১১ জুলাই অমরনাথ যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার মধ্যেই প্রাকৃতিক বিপর্যয়।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই প্রত্যেক জেলা প্রশাসনকে সতর্ক করেছিল নবান্ন। অমরনাথে গিয়ে কারও আটকে থাকার খবর পেলেই সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকে তা জানাতে বলা হয়েছিল নবান্নর তরফে। এদিন দিনভর জেলা থেকে ফোন এসেছে নবান্নে। নবান্ন সূত্রের খবর, রেসিডেন্ট কমিশনারের দপ্তরের মাধ্যমে কাশ্মীর প্রশাসনকে সবটাই জানানো হয়েছে। উদ্ধারের জন্য সব পদক্ষেপই রাজ্যের তরফে করা হচ্ছে।