দেবব্রত মণ্ডল, ক্যানিং: চাষের জমির পাম্পের মটর চুরিকে কেন্দ্র করে বিবাদ। আর তার জেরে ধুন্ধুমার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে। দুই পরিবারের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটল। উঠল শ্লীলতাহানির অভিযোগ। জখমরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় আটজন জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, দুই পরিবারের বিবাদকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় গুরুতর জখম হলেন উভয়পক্ষের মোট পাঁচজন। বৃহষ্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং থানার অন্তর্গত তালদি পঞ্চায়েতের রাজাপুর গ্রামে। গুরুতর জখম হয়েছেন এক গৃহবধূ-সহ তাপসকুমার বৈদ্য, তারক সর্দার, কাঙাল চন্দ্র বৈদ্য ও রমেশ বৈদ্য। ঘটনায় দুই পরিবারে তরফেই ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
তালদি রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা রমেশ বৈদ্য। তাঁর চাষের জমি থেকে মোটর চুরি হয় বলে অভিযোগ। সেই মোটর চুরিকে কেন্দ্র করে প্রথমে প্রতিবেশী তারক সর্দারকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাতেও ক্ষান্ত থাকা হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতে রমেশ, রাজীব ও নিখিল বৈদ্যরা ফের তারক সর্দারদের বাড়িতে চড়াও হন। তারক সর্দার, তাপস বৈদ্যদের লাঠি, বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্তদের উদ্ধার করতে গিয়েছিলেন বৃদ্ধ কাঙালচন্দ্র বৈদ্য ও তাপসের স্ত্রী। তাঁদেরও ফেলে পেটানো হয় বলে অভিযোগ। ওই বধূর শ্লীলতাহানি করা হয়! কাপড় ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। ঘটনায় গুরুতর জখম হন ওই পরিবারের চারজন। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলে।
আক্রান্ত বধূ বলেন, "ধানজমিতে মোটর চুরির বদনাম দিয়ে আমাদের বাড়িতে চড়াও হয় রমেশ, রাজীব ও নিখিল বৈদ্যরা। আমার স্বামী তাপস বৈদ্যকে মারধর করেন। তারক সর্দারকেও মারধর করেন। আমি ও আমার শ্বশুর তাঁদের উদ্ধার করতে গেলে আমাকে ও শ্বশুরকে মারধর করেন। থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।" অন্যদিকে রমেশ বৈদ্য বলেন, "তারক সর্দার ও তাপস বৈদ্যরা আমাদের জমি দখল করার চেষ্টা করেন। প্রতিবাদ করলে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেন। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।"