দিব্যেন্দু মজুমদার, হুুগলি: করোনা (CoronaVirus) পরিস্থিতিতে ফের দাদাগিরির অভিযোগ উঠল অ্যাম্বুল্যান্স চালকের বিরুদ্ধে। ৬ ঘণ্টার জন্য ৩৩ হাজার টাকা দাবি করা হয় বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে গয়না বন্ধক রেখে ভাড়া মেটাতে বাধ্য হন বধূ।
জানা গিয়েছে, হুগলির (Hooghly) উত্তরপাড়ার বাসিন্দা ওই বধূ। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ তাঁর স্বামী। ভরতি ছিলেন উত্তরপাড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। এরপর স্বামীকে কলকাতার অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেন ওই মহিলা। সেই মতো এক অ্যাম্বুল্যান্সের কথা বলেন। ঠিক হয় ১২ হাজার টাকা দিতে হবে। কিন্তু কলকাতার একাধিক হাসপাতালে ঘুরেও বেড পাননি ওই বধূ। বাধ্য হয়ে স্বামীকে উত্তরপাড়া ফিরিয়ে নিয়ে যান তিনি। অভিযোগ, এরপরই অ্যাম্বুল্যান্স চালক ভাড়াবাবদ দাবি করেন ৩৩ হাজার টাকা। ওই পরিমাণ টাকা কাছে নেই, অ্যাম্বুল্যান্স চালককে বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। শেষমেষ গয়না বন্ধক দিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সের ভাড়া মেটাতে বাধ্য হন ওই বধূ। এবিষয়ে ওই অ্যাম্বুল্যান্সের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি চালকের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে চড়তে চেয়ে ভূরি ভূরি আবেদন রেলের কাছে, রাজ্যের কোর্টে বল ঠেলল রেল]
এই ঘটনা রাজ্যে প্রথম নয়। এর আগেও বিভিন্ন জায়গা থেকে অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের দাদাগিরির খবর প্রকাশ্যে এসেছে। কখনও পরিস্থিতির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কয়েকগুণ ভাড়া হাতিয়েছেন চালক। বাধ্য হয়ে সমস্যা সত্ত্বেও তাঁদের দাবি পূরণ করতে হয়েছে রোগীর পরিবারকে। করোনা পরিস্থিতি প্রায়দিনই অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ তুলছেন রোগীর পরিবার ও পরিজনরা।