নবেন্দু ঘোষ, বসিরহাট: হাসনাবাদে বিজেপির কর্মীর মৃত্যুর তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, রাজনৈতিক কারণ নয়, পারিবারিক শত্রুতার জেরে নিজের ছেলেই খুন করেছে ওই মহিলাকে। রবিবার অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হলে তাকে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘২০ দিনের মধ্যে কাটমানি ফেরত দেব’, বিক্ষোভের মুখে মুচলেকা তৃণমূল নেতার]
ঘটনার সূত্রপাত ১৩ জুন। জানা গিয়েছে, ওইদিন রাতে বাড়ি ফিরে সক্রিয় বিজেপি কর্মী সরস্বতীদেবীকে দেখতে না পেয়ে তাঁকে ডাকাডাকি শুরু করেন স্বামী শুভঙ্কর দাস। স্ত্রীকে খুঁজতে খুঁজতে বাথরুমের কাছে যান তিনি। বাথরুমের পাশে থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হন সরস্বতীদেবী। তড়িঘড়ি তাঁকে টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান শুভঙ্করবাবু। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাঁকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, এদিন রাতে সরস্বতীদেবীর পাশ থেকেই উদ্ধার হয়েছিল একটি কাঠ ও গামছা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ কর্মীরা অনুমান করেন, কাঠের আঘাতেই খুন করা হয় ওই মহিলাকে। এরপর মৃতের পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর পায় পুলিশ। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই মৃতের স্বামী, ছেলে ও তাঁর ব্যবসার সহকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু পুলিশ।
[আরও পড়ুন: দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঘিরে রণক্ষেত্রে নবদ্বীপ, মারমুখী জনতার ভয়ে ঝোপে আশ্রয় নিল পুলিশ]
জানা গিয়েছে, দীর্ঘক্ষণ টালবাহানা করলেও অবশেষে পুলিশি জেরার মুখে ভেঙে পড়ে মৃতার ছেলে। পুলিশ সূত্রের খবর, পারিবারিক অশান্তির কারণেই মাকে খুনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বছর ১৯-এর ওই কিশোর। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া কাঠটি দিয়েই মাকে খুন করেছিল অভিযুক্ত। অভিযুক্তের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতেই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রবিবারই তাকে আদালতে পেশ করা হলে তাকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। প্রসঙ্গত, সরস্বতীদেবীর মৃত্যুর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই তাঁর ছেলের আচরণে সন্দেহে তৈরি হয় পুলিশের মনে। যদিও প্রথম থেকেই অভিযুক্ত কিশোর দাবি করেছিল ঘটনার সময় বাড়ি থেকে বেশ অনেকটাই দূরে ছিল সে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
The post রাজনীতি নয়, পারিবারিক বিবাদের জেরে মাকে খুন! স্বীকারোক্তি অভিযুক্তের appeared first on Sangbad Pratidin.
