সাবিরুজ্জামান, লালবাগ: একদিন নিখোঁজ থাকার পর স্কুল ভবনের তিনতলা থেকে উদ্ধার ছাত্রী। এক রাজমিস্ত্রি স্কুলে দেখতে পায় তাকে। তারপরই উদ্ধার হয় ছাত্রীটি। কীভাবে মুর্শিদাবাদের লালবাগে এই ভয়ংকর কাণ্ড ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ওই ছাত্রীর নাম অপর্ণা দাস। লালবাগ এম এম সি বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী সে। শনিবার পরীক্ষা দিতে স্কুলে গিয়েছিল সে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরেও বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরেনি ছাত্রীটি। জানা গিয়েছে, স্কুলেই আটকে পড়ে সে। এদিকে, পরিবারের লোকজন তার খোঁজখবর শুরু করে। বিদ্যালয়েও খোঁজা হয়। সেখানেও পাওয়া যায়নি তাকে। এভাবে প্রায় ২৪ ঘণ্টা কেটে যায়।
[আরও পড়ুন: ‘কলকাতায় আসছেন মিঠুনদা, যাবেন বিজেপি পার্টি অফিসেও’, দাবি সুকান্ত মজুমদারের]
রবিবার সন্ধেয় কাজ সেরে ওই স্কুলেরই পাশ দিয়ে এক রাজমিস্ত্রি যাচ্ছিলেন। তিনি স্কুলে ছাত্রীকে দেখতে পান। খবর দেওয়া হয় স্কুল কর্তৃপক্ষকে। স্কুলের দারোয়ান শুরু করে খোঁজাখুঁজি। তিনতলার একটি ঘর থেকে ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। ছাত্রীর পরিবারেও খবর দেওয়া হয়। ছাত্রীর বাবা প্রদ্যুৎ কুমার দাস বলেন, “স্কুলের যিনি গেটম্যান তাকে দেখতে যেতে বললেও তিনি তৃতীয় তলায় কোন পরীক্ষা হয়নি বলে দেখতে যাননি। আর সেই তিনতলা থেকেই মেয়েকে উদ্ধার করা হয়। এরপর আমার আর কী-ই বা বলার থাকে?”
খবর পাওয়ামাত্র ছাত্রীর পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। মুর্শিদাবাদ পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই ছাত্রীর পরিবার স্কুল কর্তৃপক্ষের ব্যবহারে অত্যন্ত বিরক্ত। মুর্শিদাবাদ থানায় লিখিত অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি। ওই ছাত্রীকে উদ্ধারের পর লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কেন ওই ছাত্রীটি পরীক্ষার পর স্কুলে আটকে পড়ল, তা এখনও জানা যায়নি। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।