দেব গোস্বামী, বোলপুর: ছাত্রীকে বকাবকি, কানমলা দেওয়ার শাস্তি! স্কুলে ঢোকার মুখে শিক্ষককে বেধড়ক মার ছাত্রীর বাবার। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) পাড়ুই থানার কসবায়। শিক্ষককে মারধরের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন অন্যান্য অভিভাবক ও স্কুলের শিক্ষকরা। আক্রান্ত শিক্ষক বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিষয়টা ঠিক কী? বীরভূমের পাড়ুই থানার অন্তর্গত কসবা গ্রাম পঞ্চায়েতে বাঁধনবগ্রাম গান্ধী বিদ্যাপীঠ স্কুলটি। সেখানকার নবম শ্রেণির ছাত্রী অপরাজিতা দাস। তার মা ওই স্কুলেরই পার্শ্বশিক্ষক। অভিযোগ, সোমবার ইতিহাসের ক্লাস চলাকালীন বকাবকি করা হয় ওই ছাত্রীকে। শিক্ষক উত্তমকুমার সাহা ছাত্রীকে কানমলা দেন, প্রবল বকাবকি করেন। যার পরিণতি হল ভয়ংকর। অভিযোগ, মঙ্গলবার স্কুল আসার সময় আচমকা ওই শিক্ষকের উপর চড়াও হন অপরাজিতার বাবা। ওই শিক্ষককে বেধড়ক মারধর করা হয়। যার জেরে গুরুতর জখম হন ওই শিক্ষক। ভেঙে যায় হাত। বর্তমানে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
[আরও পড়ুন: জগৎবল্লভপুরে শুটআউট, প্রোমোটারের সঙ্গে বিবাদের জেরে গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে গুলি, বোমা]
এদিকে শিক্ষককে মারধরের প্রতিবাদে স্কুলে গেটের সামনেই প্রতিবাদে শামিল হয় পড়ুয়ারা। অভিভাবক ও গ্রামবাসীদের দাবি, স্কুলে ঢোকার মুখে গাছের ডাল ভেঙে শিক্ষককে মারতে শুরু করে অভিযুক্ত। তাঁদের কথায়, “এই জিনিস একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। শিক্ষক যারা শিক্ষাদান করছেন তাঁদের গায়ে হাত! অত্যন্ত লজ্জার।” এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক গৌতম চক্রবর্তী বলেন, “শিক্ষকতা জীবনে এমন ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। বকাবকি, কানধরার জন্যই সহকর্মীকে অত্যাচারিত হতে হল! মেনে নেওয়া যায় না।”
