শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: বউমার পরকীয়ার কথা জেনে গিয়েছিলেন প্রৌঢ়া। প্রাণের বিনিময়ে তার মাসুল দিতে হল তাঁকে। প্রেমিকের সঙ্গে পরামর্শ করে শাশুড়িকে খুন করল বধূ। নৃশংস ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের (Daspur)। পুলিশের দাবি প্রায় দশ ঘণ্টা জেরার পর ‘গুণধর’ বউমা ও তার প্রেমিক গোটা ঘটনা স্বীকার করে নেয়। এরপরই গ্রেপ্তার করা হয় তাদের।
শনিবার দাসপুরের ওসি সুদীপ ঘোষাল ও ঘাটালের সিআই দেবাশিস ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে ঘাটালের এসডিপিও অগ্নিশ্বর চৌধুরি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানেই নৃশংস ঘটনার বর্ননা দেন তিনি। বলেন, “শুক্রবার দাসপুরের শ্যামসুন্দরপুরে দুপুর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল মৌসুমী গোস্বামী নামে এক প্রৌঢ়ার দেহ। প্রথম থেকেই পুলিশের সন্দেহের তির ছিল পরিবারের সদস্যদের দিকেই। সেই কারণে মৃতার ছেলে ও বউমাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। তাদের কথাবার্তার মধ্যে বেশ কিছু অসংগতি মেলে। প্রথমটায় সুস্মিতা গোস্বামী জানায়, মৌসুমীদেবী অসুস্থ ছিলেন। তিনি ও তার শ্বশুর মুখে জল দিয়ে বাড়ির দোতলায় চলে যান। ওই সময় কে বা কারা শাশুড়ির গয়না ও টাকা পয়সা লুট করে পালিয়ে যায়। শব্দ শুনতে পেয়ে নীচে নেমে আসেন তিনি। ততক্ষণে এসে পড়েন মৃতার স্বামী। তিনিই পুলিশে খবর দেন । কিন্তু বধূর এ বয়ান একেবারেই বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি পুলিশের। ফলে চেপে ধরা হয় তাকে। তখনই জেরায় সামনে আসে আসল তথ্য।”
[আরও পড়ুন: বেঁচে থাক ভালবাসা! মৃত প্রেমিকার সিঁথিতে সিঁদুর পরালো পূর্ব বর্ধমানের যুবক]
জানা গিয়েছে, পুরোহিত গোরাচাঁদের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল সুস্মিতার। তারা প্রায়ই দুপুরবেলা গোপনে দেখা করতেন। কয়েকবারই তাদের অপ্রীতিকর অবস্থায় দেখে ফেলেছিলেন মৌসুমীদেবী। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি করেন তিনি। যার ফলে এই মর্মান্তিক পরিণতি। নিহতের একমাত্র ছেলে শুভজিৎ গোস্বামী বলেন, “মাস ছয়েক আগে এই নিয়ে মায়ের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল সুস্মিতার। আমিও আপত্তি করেছিলাম। এখন বুঝতে পারছি ওরা পরিকল্পনা করেই মাকে খুন করেছে।” স্ত্রী ও তার প্রেমিকের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন ওই যুবক।