অর্ণব দাস, বারাকপুর: লরির ধাক্কায় বাইক আরোহীর মৃত্যু। ঘাতক লরিতে ভাঙচুর এবং বিক্ষোভও দেখান স্থানীয়রা। তার ফলে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দেগঙ্গার নূরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের আরিজুল্লাপুরে বেলিয়াঘাটা সোহাই বাইপাস রোডের উপরে। পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্থ ধস্তাধস্তিও হয় বিক্ষোভকারীদের।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলেঘাটার দিক থেকে একটি পণ্যবাহী ট্রাক সোহাই বাজারের দিকে যাচ্ছিল। আরিজুল্লাপুর এলাকায় গোবিন্দপুর মোড়ে দুই যুবক গোবিন্দপুরের দিক থেকে বাইক নিয়ে মেন রাস্তায় উঠে পড়ে। আচমকা লরিটি এসে সামনে থেকে ওই বাইকে ধাক্কা মারে। বাইকে থাকা এক যুবক অন্যদিকে ছিটকে পড়ে। আরেক যুবক ধাক্কা লেগে ট্রাকের পিছনের চাকার তলায় পড়ে যায়। তাঁর মাথা পিষে যায়। প্রায় কুড়ি ফুটের দেহ হিঁচড়ে নিয়ে যায় ওই ট্রাক। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় যুবকের। মৃতের নাম, পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বেলিংহামদের হাত ধরে ইউরো কি ‘ঘরে’ ফিরবে? একনজরে ইংল্যান্ডের শক্তি-দুর্বলতা]
লরিচালক বাইক আরোহী যুবককে কোনওভাবেই বাঁচানোর চেষ্টা করেনি বলেই অভিযোগ। লরির চাকার হাওয়া খুলে দেওয়া হয়। শুরু হয় ব্যাপক ভাঙচুর। দুর্ঘটনা রুখতে স্পিডব্রেকারের বন্দোবস্তের দাবি পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দেগঙ্গা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্থ বচসা শুরু হয় বিক্ষোভকারীদের। ধস্তাধস্তিও হয়। অবশেষে দেগঙ্গার এসডিপিওর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বিক্ষোভকারীদের লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করা হয়। তার পরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।