shono
Advertisement
Abhishek Banerjee

'কালীঘাটের কাকু'র সঙ্গে যাঁর কথা হয়েছিল তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন?', প্রশ্ন অভিষেকের

প্রায় সাড়ে তিনমাসের মাথায় ইডির হাতে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা।
Posted: 09:55 PM Apr 18, 2024Updated: 10:10 PM Apr 18, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘কালীঘাটের কাকু’র ভয়েস ক্লিপ নিয়ে এবার পালটা প্রশ্ন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। 'কালীঘাটের কাকু'র সঙ্গে যাঁর কথা হয়েছিল তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন?', জানতে চাইলেন তৃণমূলের 'সেনাপতি'। বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের কালনায় সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে এই প্রশ্ন করেন তিনি।

Advertisement

দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর ইডির হাতে 'কালীঘাটের কাকু' ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা। তবে ভয়েস ক্লিপের সঙ্গে 'কালীঘাটের কাকু'র কণ্ঠস্বর মিলেছে কি না তা এখনও জানা যায়নি। এই প্রসঙ্গে এদিন সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে অভিষেক প্রথমে বলেন, ‘‘সেটা ইডি এবং কোর্টের বিষয়। আমি এখানে কী বলব?’’ এর পর তিনি আরও বলেন, ‘‘যাঁর সঙ্গে কথা হয়েছিল, তাঁকে কি ইডি গ্রেপ্তার করেছে?’’ তবে কার সঙ্গে কথা হয়েছিল সুজয়কৃষ্ণের, সে বিষয়ে অবশ্য কিছুই বলেননি অভিষেক। পরিবর্তে জল্পনা জিইয়ে রেখে অভিষেকের জবাব, ‘‘আমি কেন বলব? সেটা ইডি বলবে।’’

[আরও পড়ুন: জিতেছিলেন বিজেপির টিকিটে, বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণির]

উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তারের পর থেকে ইডির টার্গেট ছিল কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের (Sujay Krishna Bhadra) কন্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা। কিন্তু জেল হেফাজতে যাওয়ার পর থেকে একাধিকবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। একাধিকবার হাসপাতালের তরফে বলা হয়েছে, ধৃতের শারীরিক অবস্থা ভালো নয়, ফলে সেসময় তাঁর কন্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা যায়নি। অবশেষে চলতি বছরের জানুয়ারিতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে সিআরপিএফ জওয়ানের নিরাপত্তায় জোকা হাসপাতালে নিয়ে যায় ইডি। ওদিকে, দুপুর থেকেই ৪ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি হয় তাঁর গলার নমুনা সংগ্রহের জন্য। পিজি থেকে জোকা প্রায় ৪০ মিনিট পথ ফাইভ জি অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। রাত ১০টা নাগাদ জোকা ইএসআই হাসপাতালে ঢোকেন তিনি।

সেখানে রুটিন চেকআপের পর শুরু হয় ভয়েস স্যাম্পল সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া। টানা দুঘণ্টা কাউন্সেলিংয়ের পর অবশেষে ‘কাকু’কে ইএনটি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু তার পর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও কণ্ঠস্বর পরীক্ষার রিপোর্ট পাচ্ছিল না ইডি। সম্প্রতি এ বিষয়ে কলকাতা হাই কোর্টের প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকেও। পরবর্তীতে রিপোর্ট চেয়ে সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবে চিঠি পাঠায় ইডি। এবার অবশেষে ইডির হাতে রিপোর্ট।

[আরও পড়ুন: প্রচণ্ড গরমই হাতিয়ার জালিয়াতদের! অভিনব কায়দায় প্রতারণা রাজ্যে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement