shono
Advertisement

‘তিনমাস পরপর আসব’, মতুয়া মন্দির গোবরজলে শুদ্ধিকরণ নিয়ে শান্তনুকে পালটা অভিষেকের

মতুয়াদের একাংশের বিরোধিতায় ঠাকুরবাড়ির মূল মন্দিরে ঢুকতেই পারেননি অভিষেক।
Posted: 04:45 PM Jun 11, 2023Updated: 08:19 PM Jun 11, 2023

জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: সকাল থেকেই অশান্তির বাতাবরণ ছিল। বেলা যত গড়িয়েছে, ততই মতুয়া সম্প্রদায়ের নিজেদের বিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বনগাঁর ঠাকুরবাড়ি ও মন্দির। রবিবার তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) নবজোয়ার কর্মসূচি নিয়ে ঠাকুরনগর যাওয়ার আগেই তুমুল বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর (Santanu Thakur) ও তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক মমতাবালা ঠাকুরের বিবাদের মাঝে পড়ে মতুয়ারা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে মন্দিরের মূল দরজা বন্ধ করে দেন। তাতে অভিষেক গিয়ে মূল মন্দিরে ঢুকতে পারেনননি। বাইরে থেকে পুজো দিয়ে তিনি বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শান্তনু ঠাকুরকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন অভিষেক। বলেন, ”আমাকে আটকানোর জন্য সকাল থেকে মন্দির ঘিরে রেখেছে বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। চাইলে ৫ মিনিটে আমি লোকজন হঠিয়ে মন্দিরে ঢুকতে পারতাম। কিন্তু তৃণমূল ভেঙে দেওয়া, গুঁড়িয়ে দেওয়ার রাজনীতি করে না। মন্দির শান্তনুর পৈতৃক সম্পত্তি নয়।”

Advertisement

এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠাকুরবাড়ি যাওয়া ছিল পূর্বঘোষিত কর্মসূচি। ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচি নিয়ে বনগাঁয় (Bongaon) পৌঁছে মতুয়া মহাসম্প্রদায়ের ঠাকুরবাড়ি গিয়ে বীণাপানি দেবীকে শ্রদ্ধা জানানোর কথা ছিল। কিন্তু রবিবার সকাল থেকেই অভিষেকের সফরকে কেন্দ্র করে ঠাকুরনগরে মতুয়াদের দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল অশান্তি শুরু হয়। ঠাকুরবাড়ির মূল মন্দির দখল করে শান্তনু ঠাকুরের অনুগামীরা দরজা বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ। ফলে অভিষেক গিয়ে ঢুকতে পারেননি।   

[আরও পড়ুন: চোখ রাঙাচ্ছে ‘বিপর্যয়’! ভয়াবহ দুর্যোগের আশঙ্কায় কাঁপছে গুজরাট]

তিনি মন্দিরের বাইরে থেকে প্রণাম সেরে বেরিয়ে সোজা চলে যান ঠাকুরবাড়িতে। মতুয়া সম্প্রদায়ের বড়মা প্রয়াত বীণাপানি দেবীর ঘরে গিয়ে তাঁর মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানান।  সেখানে বসে কিছুক্ষণ কথা বলেন। এরপর বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ”আমাকে আটকাতে বিজেপি বদ্ধপরিকর। সকাল থেকে মন্দির ঘিরে রেখেছি। চাইলে ৫ মিনিটে মন্দিরে ঢুকতেই পারতাম। কিন্তু তা করিনি। মন্দির রাজনীতি করার জায়গায় নয়। এখানে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না আমার। হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলাম। আমার কর্মসূচি এখান থেকে দূরে, হাবড়ায়। এই মন্দির শান্তনু ঠাকুরের পৈতৃক সম্পত্তি নয়। মানুষের শ্রদ্ধা আর আবেগের জায়গা। যা করলেন ওঁরা, তার জবাব চাইবে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষজন।” 

[আরও পড়ুন: মাত্র ১৪ বছর বয়সেই ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে মাস্কের সংস্থায় যোগ! তাক লাগাল বিস্ময় বালক]

অভিষেক মন্দিরে ঢুকলে তা গোবরজল দিয়ে শুদ্ধ করা হবে বলে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন শান্তনু ঠাকুর। তার জবাবে অভিষেক বলেন, ”গোবরজল দিয়ে শুদ্ধিকরণ হোক না। ভালই হবে। আমি বলছি, আমি প্রতি ৩ মাস অন্তর অন্তর আসব এখানে। ওঁরাও শুদ্ধিকরণ করুন। অন্তত এটুকু কাজ তো করুন।” তবে অভিষেককে এভাবে আটকানোর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক ক্ষুব্ধ তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) স্পষ্ট দাবি, ”এই ধরনের সংস্কৃতি অত্যন্ত নিন্দনীয়। অভিষেক ওখানে রাজনীতি করতে নয়, গিয়েছিলেন শ্রদ্ধা জানাতে। বীণাপানি দেবী আমাদের খুবই কাছের, শ্রদ্ধার। তাঁর বাড়ি গিয়েছিল অভিষেক। কিন্তু মন্দির বন্ধ রেখে ওরা যা করল, তার তীব্র নিন্দা করি।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement