নন্দন দত্ত, সিউড়ি: ওয়াকফ আন্দোলন নিয়ে মুখ খুললেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর সাফ প্রশ্ন, এ রাজ্যে যখন দিদি ওয়াকফ বিল মানবেন না তখন অশান্তি কেন? পাশাপাশি ওয়াকফ বিরোধী সব সভায় কর্মীদের উপস্থিত থাকার বার্তা দিলেন বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি কেষ্ট মণ্ডল।

মুর্শিদাবাদ লাগোয়া নলহাটিতে গতকাল থেকেই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। যাতে কোনওভাবে সম্প্রীতি নষ্ট না হয় তার জন্য তৎপর পুলিশ প্রশাসন। সেই পরিস্থিতিতে নলহাটিতে কর্মী বৈঠক করলেন অনুব্রত। সোমবার নলহাটির একটি হলে চার বিধানসভা নলহাটি, মুরারই, ময়ুরেশ্বর ও হাসনের বিধায়ক ও সাংগঠনিক নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা,নলহাটির বিধায়ক রাজেন্দ্র সিং,মুরারই বিধায়ক মোশারফ হোসেন, হাসনের বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়, ময়ূরেশ্বরের অভিজিৎ রায়। অসেখানেই কর্মীদের বেশ কিছু বার্তা দেন। দলকে মজবুত করতে নববর্ষের পরেই ব্লকে এবং অঞ্চলে সাংগঠনিক সভা করার নির্দেশ দিলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল। সে সভায় তিনি নিজে উপস্থিত থাকবেন বলে জানান।তবে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে যথারীতি বিজেপি সম্বন্ধে এদিনও নীরব থাকলেন। উচ্চারণ করলেন না একটি শব্দও।
অনুব্রত বললেন, "আমাদের রাজ্যে ওয়াকফ বিল তো মুখ্যমন্ত্রী লাগু করবেন না বলে দিয়েছেন। তাহলে অশান্তি কেন? তবে প্রতিবাদ চলবে।" এরপরেই এলাকার বিধায়ক ও তৃণমূল নলহাটি শহর সভাপতিকে লক্ষ্য করে বলেন, "ওয়াকফ বিরোধী সব মিছিলে সবাই থাকবেন। রাজু, পিন্টু সবাই থাকবি। কোনও হানাহানি, রক্তারক্তি যেন না হয়।" রামপুরহাট দুই ব্লকের কর্মীদের হাসনের বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে চলার নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত চারমাস তারাপীঠ এলাকায় অশোক চট্টোপাধ্যায়কে বাদ দিয়েই এলাকায় সভা সমাবেশ যোগদান করাচ্ছে তৃণমূল ব্লক নেতৃত্ব। এমনকি তারাপীঠ মন্দিরেও যাননি বিধায়ক। কারণ, তারাপীঠের সেবাইত সংগঠনের সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রীর মৃত্যু হয় অশোকবাবুর চিকিৎসায়। তাঁদের অভিযোগ, ভুল চিকিৎসায় রোগীকে মেরে ফেলেছেন অশোক। তাই এদিনের বৈঠকে রামপুরহাট দুই ব্লককে নির্দেশ দিলেন অশোকবাবুকে নিয়ে চলার। যে অঞ্চলে সাংগঠনিক পদে কেউ নেই সেখানে পাঁচ জনের একটি করে কমিটি করার পরামর্শ দেন। তাহলেই জেলার ১১ আসনের সব ক'টিতেই তৃণমূল জয়ী হবে বলে জেলা সভাপতি কর্মীদের নিশ্চিত করেন।